Tuesday, 30 January 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী পর্ব-১


দীর্ঘস্বর 


-১. কস্টলি স্লিপওয়াকিং ভারী ডয়টেরিয়ামের কাতিল ঠোঁট ভেঙে নির্মূল করেছে অগ্রজ অন্ধকার ঘোলা জলে পদ্মনাভি হেঁটে যায় খোসা ছাড়ানো পাতিলেবুর বিষ মাখানো আগুনে 


০. মূলত কার্বন মনোক্সাইডের ভেতর রিং থিওরি খাটছে না দেখে আড়াআড়ি পিপাসা হ্যালুসিনশনের কাঁটাতার অর্জন করে ও বহুব্রীহি সমাস ব্যাসবাক্য ভেঙে রায়তা ছড়ায় ক্রমবর্ধমান হারে 


১. এইসব অস্বস্তিকর লেখন তীরন্দাজের চোখ থেকে পঞ্চমুন্ডির আসনে হুহু শীতলতার আশ্রয় আগের পাতায় ঝরিয়ে দেয় এমন গানের বিপরীতে আঁশ ছাড়ানো ঘনমূল এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথের পরিপূরক আদতে পরম শান্তি বলে কিছু নেই ভেবে নিই যে যার মতো উপঢৌকনে সাজিয়ে...


ছবি- অর্ণব জানা
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••


Monday, 29 January 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী পর্ব-১

উদয় সাহা’র কবিতা -

নিঝুম 

কথায় বাড়ে কথার তীক্ষ্ণ স্বর;
সেতু এখন নীরব মরুভূমি...
বাঁধন নয় ; ভেঙে গেছে ঘর;
পান থেকে চুন খসালে তুমি

পায়ের নুপুর নিঝুম হ'ল মনে,
সাদা পাতায় বিরাট বড়ো স্পেস-
সমগ্রতা নামলো গলির কোণে,
ঠোঁটের মাঝে তোমার চুমুর দেশ...


বৃষ্টির পর 

তুলসীতলায় লুকানো আছে সময়-
নিয়ম করে শোকের গান গাওয়া...
সব মৃত্যু জাগায় না আগ্রহ ;
সুস্থ চোখে ছুটছে রেশম হাওয়া 

চিতা ফুঁড়ে উঠতে তবু হবে,
রুমাল জুড়ে অজস্র নোনা ঘাম;
উড়বে ফানুস, বেপরোয়া সাজঘর,
খুচরো রানে জিতবে তোমার নাম

মাথার কাজ অনেক হ'লো জনাব,
পুরানো চোট টাটকা থাকা ভালো-
রিংটোনে লাফিয়ে বেড়াক হরিণ 
বৃষ্টির পর সন্ধ্যাশহর- 
                      অপূর্ব সে আলো !


অবশ্যম্ভাবী 

হলুদ কোটার আলোয় ডুবে গেলে
বাড়ি ফেরা হয় না আর... 

শরীরে লেগে থাকে নিঝুম দুপুরবেলা 
শীষ দিয়ে শিস বাজায় আমনগ্রাম
ডিঙি নৌকায় বহতা পানকৌড়ি-মন...

তারপর দেখি--
পলাতক-তুলো-মেঘদের পথে, 
নিড়নো মাঠে ঈশ্বর লেখে গোধূলির ভাষা 


ছবি- অর্ণব জানা
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

Sunday, 28 January 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী পর্ব-১
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল এর কবিতা -

∆ 
দিতির জলকণা খুঁজি
 
বিচ্ছিন্ন পাখির পালকের মতো সাদা ফুলের দিকে তাকিয়ে আমারই শরীর পুড়ে যাচ্ছে আদিম অনার্যে, কোদালের বাঁটে লেগে থাকে মাটি – কোনো পরাজয় নেই ; আকাশ জুড়ে পার্থেনিয়াম, সেখানে পুঁতে রাখছে আঁধার, হয়তো সব নিষিদ্ধে ভাত ফোটার রংটুকু সারা পথ জুড়ে, কিছু কান্না ভাসে অজীর্ণ অপুষ্টিতে ; এত মায়ামেঘ, নাবাল ঠেলে ওঠে যায় সাপ সাপ দুপুর – কারা যেন দামনের সাথে গোলমাল চায়  

ধূসরতার কোনো মানে নেই ছায়ারোদে, অর্থহীন হলুদ ভেঙে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতির পর – তাকে খুঁজতে বেরিয়ে যায় নিটোল বাদামি স্ত্রী ও সন্তানেরা ; মাছ ভাজার গন্ধ আসে আর জং বাজে মার্টগার্ডে, তারপর তন্ন তন্ন করে আমি দিতির জলকণা খুঁজি 

ধর্মপোতার কাছে ভাঙা ইটের টুকরোগুলো মৃত্যু পিপাসায় সম্ভোগ সারে – 


∆ 
কাঁপতে থাকে জলতল 

বর্ষা হওয়ার কথা ছিল না আজ ; বেঁচে থাকার একটা প্রহর পর্যন্ত শুধুমাত্র, আমরা দেখতে পাচ্ছি নাগরদিঘিটি একে একে অধিকার করে জমিন, মাথার উপর ভেসে বেড়াচ্ছে উদভ্রান্ত জঙ্গল বিষয়ক মেঘ – আলপথের ধারে গজিয়ে ওঠা অস্থাবরে ভাঙা ডালপালার ন্যাতানো কোটি, আমি কাদা ছেটানো হাত পা নিয়ে সাদাসিধে – ভেজা বিড়িতে আগুন লাগাই ; ভেঙ্গে যাওয়া আর হাতড়ানো শ্বাসের টানে কাঁপতে থাকে জলতল 

এসব অসামান্য আয়ুতে শেওলার উপর রোদ পড়ে – আর পরস্পরকে দেখতে থাকি আমি ও দামন 

মৃগনাভি দিতির ঝিঙে ফুল ফোটানো সামনের সবুজ বাড়িটি তার মধ্যবিত্ত নিয়ে জলাশয়ে শালুক ফোটায় 

বিশল্যকরণী ঝোপের পাশে 

এক একটা আকাশ থেকে আশ্চর্য রকম বাজ পড়ে, তখন বিশল্যকরণী ঝোপের পাশ দিয়ে ক্ষীণ কোমরের রমনীটি এগিয়ে যায় পাড়ার শেষ সীমায়, তখনও ইচ্ছের ভিতর ময়ূরীর পালক, সেখানে ধান ঝাড়াইয়ের পর দমবন্ধ বুকে জমে থাকে খড়কুটো – বাতাসের আঘাত চায় অথবা হাড়জিরে আত্মা নিয়ে উষ্ণ কাতর হয়ে পড়ে; ঠিক কতখানি ফসল জমতে পারে বাঁধের কিনারায় 

কয়েকটা খয়েরি বিন্দুর রেখায় নুনের যন্ত্রণা থেকে সে তথ্য জানা যায় না – সাবড়া আর শিরীষ গাছ ছায়া দানে আড়ষ্ট হলেও আবারও দমকা বাতাস আসে – উড়ে যায় দুপুরের তেজ : তেষ্টা বাড়তে বাড়তে দীর্ঘতায় জমাট বাঁধে আলুথালু পুরুষ  

এই সরলতার জন্য তুমি কি খুন করতে পারো দিতি


অলংকরণ - নিশিপদ্য‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••