মাটি খোসা পর্ব-২
১।। ∆ শ্যামল ঘ্রাণে ধুলিকণা ∆
চোখ বুঁজলেই অস্তিত্ব ছাপিয়ে আত্মার দায়
নেমে আসে তেরশত নদী
মাটির সাথে আমি আমার সাগর ঊর্মিময়।
কন্ঠ পোড়া ধোয়া থেকে জ্বলে ওঠে অগ্নিমশাল
ঝরা পাতার জীবন তুচ্ছ সংগ্রাম ম্লান
ঝলছে ওঠে পিতার লাস
সফেদ শাড়িতে জননী আমার অনুপ্রাণ।
বাতাসে বাজে বীরাঙ্গনার সকরুণ আর্তি
আমার ভেতরেও জেগে থাকে সবুজে শ্যামল ধুলওকনা ;
জেগে থাকে নিরন্তর বাংলাদেশ
পুস্প সৌরভে রক্ত স্রোতে ম্নান সমাপনে শুদ্ধ লাল সবুজ
চেনা জানা সব মিলিয়ে এক ঠিকানা...
২।। ∆ অবধি আবহমান ∆
তুমি বিহীন বসন্তবেলার এই পাট
নিয়মের করাত টানে ভাঙে
এই যে নৈমিত্তিক উদ্ঘাত
ভাংচুরের অভিঘাত
তার অবচেতন কতোটুকু বা কে জানে।
চৈত্রের তিস্তায়
শুকিয়ে যাওয়া অপলাপের নোনতা নিঃসরণ অথবা
ঝরে যাওয়া টুপটাপ রক্তক্ষরণ
আজ খুব প্রাসংগিক;
বেখেয়াল বাতাসের অনুরনণের অতীত যাপন
বড়জোর এই উদাহরণ....
কেউ জানে না সীমান্ত কোথায়
কেউ চেনে না ধরনী প্রবহন পথ
জোয়ার ভাটার নিরবধি বয়ে চলা জীবনে
মেনে নেই নি অন্যথা...
পথ চলতেই পথের খোঁজ
চমকে উঠি থমকে দাঁড়াই
নির্দ্বিধায় হররোজ।
অবধি আবহমানে
কেউ নেই আশেপাশে
কেউ নেই নিশ্বাসে
সেই একান্ত আপন ;
তবুও অপার আগ্রহেই বয়ে যায় -
নিদারুন অচেনা যাপন....
৩।। ∆ ভোর ধর্মান্তর ও কবিতা ∆
ভোরের অপেক্ষায় স্বচ্ছ নিথর ঘোরে
সবুজ এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে
নব্য ক্যানভাস ইজেলে অনুক্ষণ আঁকে
বৈষ্ণবী
জলরঙে বোনা নকশি কাঁথা ধর্মান্তরিত হয়ে
দুঃখ নামের দিগন্তের রোদবৃষ্টি
এক জীবন জুড়ে।
মঞ্চের সব প্রম্পটারের নাম হতে পারে -
নাকছাবি
হ্যারে নাকছাবি
কেন ভেঙেছিস বেদনা প্রজ্ঞাপিত বাজেয়াপ্ত বয়সগুলো?
যন্ত্রণা কাতর জ্বরঘুমের দুপুরবেলা
কম ভলিউমে বাজা সন্ধ্যারাত?
গ্রীষ্মের গোলাপগুলো তবুও ডাকে
ভোরের কবিও জাগে
মেমোরি কার্ডের আই. সি. তে
একদিন একজন ছিল....
পূর্বতন সম্পর্কের জেরটেনে বলতে পারি -
অদ্য মেঘ ভাবনা
কোন এক নিরোদ বর্ষা দিনের ফ্রেম ভাঙা ছবি
ছবি - মেহবুব গায়েন
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
No comments:
Post a Comment