কবি চিরঞ্জীব হালদার এর কবিতা-
১.
আগামী ত্রিশ বছর পর এই আখ্যান টি পড়বেন।
তখন আপনাদের মূল্যবান আঙিনা
খরচ হয়ে যাবে হাঙর বা ক্যঙারু চাষে।
সমস্ত ধুধুল গাছে টং ঘর বানিয়ে
মেয়ে পিঁপড়েরা ছিপ ফেলবে
প্রেমিকের জন্য।
বান আসার আগে ঘরে ঘরে বিলিয়ে দেওয়া হবে
চিতা কাঠ।
অথবা বেছে নিতে পারেন
ফার্নেসের ওয়েটিং লিষ্ট।
তবে দেখে নেওয়া হবে কাজু নামক ফলটি
আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় কিনা।
আর চন্দ্র অভিযানের জন্য
প্রতিটি মগজ কাঠামো অবধারিত ব্যবহৃত হবে
নৌকা স্বরূপ।
২.
আমরা প্রায়শই ভুলভাল চাঁদ দেখি।
আমাদের স্যাডিষ্ট লজিক।
বিপরীত প্লেজার।
গুরুদেব তুমি।
আর তোমাদের বাংলা চোলাই।
হে প্রেসিডেন্সির সিঁড়ি তুমি বুঝি
এভাবেই নিষিদ্ধ নিদ্রা কাতর।
এই নাও এক পুরিয়া ভ্যান গগ।
স্বনাম ধর্মী আত্মকথন।
ট্রাফালবাগ স্কোয়ারে
শব বাহকের ধর্মে
আমাদের দেখা হবে।
আমরা জানতাম না নাভিতেই আমাদের চাঁদ আত্মগোপন করেছিল।
৩.
ঘাড়ের কাছে খাবার চিন্তাহীন
ক্ষুধার আঁচে সময় দেখো লীন।
নাইতে নেমে মৎস্য কিরণ জাল
তুমি এখন কোন দিঘীতে যাবে।
চতুর্দিকে খাদ্য হরিন পাল
তবুও তুমি ঈশ্বরীয় ভাবে।
ঘাড়ের কাছে খাবার চিন্তাহীন
ক্ষুধার আঁচে সময় দেখো লীন।
খাদ্য বলতে এখন মহাকাশ
ক্ষুধা তোমার চিরকালীন দাস।
৪.
সুপর্ণার ভেতরে আর এক সুপর্ণা।
তিনি প্রোম্পটার।
তিনি নাকি কেওনঝড় এর কোন এক খনি গর্ভে আটকে ছিলেন সংলাপ শিকারের জন্য।
তখনো বেহালাবাদক কোন এক শুঁড়িখানায়।
অন্তর্যামী কালো পর্দা।
তিনি সারাক্ষণ ধরে থাকবেন রক্তমাখা পারস্য খঞ্জর।
নাট্যকার শেষ মুহূর্তে খুঁজে চলেছে কোন এক নটীকে যে আকাশকে নুপুরের মত পায়ে বেঁধে প্রথম অংকে অবতীর্ণ হবেন।
শেষ বজ বজ লোকাল যে কামরায় উঠি না কেন সবখানে দেখি সুপর্ণা বসে আছে।
৫.
কপট পর্দার কাছে আয়না স্থির হয়ে আছে।
ঠিক যেন যুবতী প্রেমিকা ।
কোথাও কোন ভাঙনের ভ নেই।
কোথাও রক্তক্ষরণ নেই ।
অথচ ক্ষরণ এর অন্য নাম আয়না ।
উভয়ে প্রথাগত পতনে ঢলে পড়ে।
সে জানে কিভাবে একজনের ভিতরে প্রবেশ করার পর শিকড় গাড়তে হয়।
শিকড় থেকে রক্তের মহোৎসব ঝরাতে হয় ।
কপট পর্দাটা ও ঠিক যেন ভাবুক শৈলী নিয়ে
স্থবির ও জ্ঞানী।
মহা ভাবুক চেতনার নৈঋতে বসে থাকা
করাল ঈশ্বরীর মতো দেখে নিচ্ছে একটি ভেড়ার চলন।
ধারালো কাতান তুমি তার কাছে কালো পর্দা।
কে বলবে কারো কোনো প্রত্যাশা নেই ।
শুধু একে অন্যের রক্তক্ষরণ দেখে যাওয়া ছাড়া।
ছবি- মেহবুব গায়েন
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
খুব ভালো লাগলো
ReplyDelete