সন্দীপন দত্ত এর কবিতা -
∆
নিরাময়
বিশুদ্ধ হেঁটে চলে মাথার ভিতর—
তরল নামিয়ে রাখি উচাটন তুলি।
খুব দূর মনে হয় কাঙ্ক্ষিত ভোর,
চিরুনি হারিয়ে ফেলা জটিল জীবন।
প্রাচীন মুখের ছায়া বিষণ্ণ হাসে—
চোখ চলে গেলে তবু থেকে যায় চোখ!
জল ঢালা ভাতে থাকে সুপ্ত যে ঘুম,
মাথার ভিতর সেই নিরাময় কাঁদে।
∆
জোনাকি
ভাবছি ভালো নেই তুমি;
ভাবছি, ভুল ভাবছি।
ভেসে আসা বিষাদের গন্ধ—
চুল খুলে গেল দূরে কোথাও।
আজও সেই কার্নিশের নীচে দাঁড়িয়ে,
বৃষ্টি থামেনি...
আলো ফিরে আসে, ফিরে যায়।
অনুভূতির শরীর, পরিস্থিতির কুয়াশা।
পরিবর্তন ভাবলে কত কী অনুযোগ অভিমান,
ভবিতব্য ভাবলে চুল তো খোলারই ছিল।
সেলাই শেখার ধৈর্য্যে তোমায় শিখেছি;
শিখেছি ভেসে থাকার নির্মম মৌলিক।
ভুলে যাওয়া কোনও ভুল নয়,
ভুলে থাকা নিঃশব্দ অপরাধ।
∆
'A Clockwork Orange'
আপনার প্রেমিকের কাছাকাছি আপনি একটি মেটে রঙের চাঁদ তুলে বসে আছেন ঠোঁটে। জাগ্রত শনিবারে আমিষ স্বাদের চূড়ান্ত সাধ জাগে। শরীর একটি মন্দির মনে করি— আর ঈশ্বর তো কবেই মৃত। পেঁয়াজ-রসুন তীব্র কষিয়ে আপনাকে এবার বস্তুকল্পনা করিব— কাব্যির দোহাই! মাংস হজম হবে না, বয়স আসছে, এরপর। অতএব আমরা পাখি কিনে খাঁচা খুলে দেব, কালো কাঁচুলিটি হারাবে কামরাঙা বনে। আমাদের খামারে পশুরা পাবে গণতন্ত্র। সমস্ত নির্মাণ যদিও কাঠেরই হবে। মূকেদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা সহজ— জলপাই গাছের নীচে সমবেত হব। একটি জমাট রক্তেরঙের লেখা ক্রমশ সবুজ হচ্ছে। বুঝতে পারছেন কতটা সামলে উঠেছি আমি? এরপর তো আর লিখতে না পারলে দুঃখও হবে না! এরকম কোনও স্বর্গের লোভ ছিল কি আমার? একটি ধারালো চাকু— কাগজ কেটে যায় তির্যকভাবে— আসুন আপনাকে লোকে ঠোঁটকাটা বলুক— এরকমই চান আপনি— নয় কি? অবিশ্বাস্য ডিনার এই ঠোঙায় নামিয়েছি। পাঠকের জন্য আমার করুণাই হয় মাঝেমাঝে। এই রেসিপিটুকু এবার লেখা হয়ে উঠবে। আপনিও উঠুন। দেখুন হাঁটতে পারছেন কিনা...
অলংকরণ - অতীশ কুণ্ডু
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
No comments:
Post a Comment