কবি অঞ্জন দাস এর কবিতা-
১।। ∆ রাধিকা রসিক ∆
মাটির ওপর বিছিয়ে পড়ো যেমন তেমন
শান্তি খোঁজো ঝমঝমে দিন মেঘের মনে
তুমি এলে গন্ধ চিনি বলেন মাটি
খাঁটি কথার একটি কথা শেকড় জানে
মানে বিহীন গর্জে ওঠেন তীক্ষ্ণ দুপুর
দুপুর মানে গল্প তো নয় সেসব দিনের
চেচিঁয়ে ওঠেন নীরবতা সময় কাবার
গরম বোধের বোধ মরেছে নিজের ফোনে
কোনর কোনে জমতে থাকে ঝলক নিনাদ
সেদিন হবে জমবে জলা ভরাট মাঠে
কাটিয়ে সময় আর কাটেনা বলবে তুমি
মেঘের মনে শান্তি বিলোই সূর্য পাটে
২।। ∆ আগুনের ধাতুরূপ ∆
সাত.
"তোমার হাতে ছুঁচ সুতোটি আমার হাতে ফুল
তাইনা দেখে বিশ্বজুড়ে হিংসা হুলুস্থুল"
প্রিয় কবি স্ব-ভূমি সীমানা লেখে পার্বত্য নদী ঢালু পথে
জলডুবি সিনেমায় রিল ছোটে ভেসে ওঠে দহন মথুরা
ল্যান্ডমাইন পোতা আছে বাঁশির ফোকরে কিছু লয়
মনে হয় হত্যা করি কলঙ্ক ভয়ের কিছু গানের পসরা
পরাগে পরাগ ময় চোখ অন্ধকারে নামে খুশিগন্ধ রেণু
ঘোরশাখা আলো খোলে অনন্ত পতনের প্রিয় প্রসাধনী
পাপড়ি ঠোঁটের কিছু মৌমাছি উড়ে যায় ফিরে আয় ঠোঁটে
ঝড় ওঠে রটে যায় খন্ডাংশ মেঘের পদ্য সংক্ষিপ্ত জীবনী
হলুদ পাখির শীষে ঘন হয় টি শার্ট লবঙ্গ প্রশাখা
অল্প বয়সী জলে কোমরের যন্ত্রণা ঢালে নলকূপ
ততটাই শীতল বোধ যতটা উষ্ণ রাখো রোদের বর্ণনা
প্রতিবারে লেখো"তোমাকে ছোঁয়ালে কমে আমার অসুখ"
৩।। ∆ ঝড় খোলা জামা ∆
সাত.
উত্তরা থেমে যায় ফ্রিজ খোলা দেহে
খিদে পচে সপ্তরথী আপন মানেনা
জন্মপ্যাঁচ ফেরি গায়ে সমুদ্র বানালো
শামুকের মেরুদণ্ডে মুক্তি কামনা
জাতীয়তা ভাঙে রোজ অমেরু বাতাস
আত্মলোভ মুণ্ডুহীন দাঁড়িয়ে বসতি
হিংসা ক্রোধ সংস্কৃতি চাপলে আঁঙুলে
চক্রবৃদ্ধি সুদ গোনে রাধিকার পতি
৪।। ∆ চেষ্টাচরিত্র ∆
আমি চাঁদ নই তোমার আলোয় আলোকিত আমি হবো
বৃষ্টি হতে চাই বার বার
অক্ষরে মেঘ শব্দ যেবার অমনিই ঝরে যাবো
পায়ের পয়ার কন্ঠে বাজাবে সুর
হাতের কালি রঙ দেবে দাও মনে
তোমার আপন মহিত শাসনে
বুক থেকে হিরে খুলে নিতে জানে
কানে কানে ওড়া ঝড়ের পাখিকে
টুকরো খড়ের ঘর তুলে দেবে
ধুলো বাতাসের গতি ঢেকে দেবে নরম হাতের পাতা
তুনি ত্রাতা নও আমিও তোমার কোনকালে নই দাতা
একটি কলমে কথা অমৃত দুজনেই ভাগ নেবো
আংটি বানাবো যে যার মাপে ধাতুজীবনের খাদে পরমাদে
আমি চাঁদ নই তোমার আলোয় আলোকিত আমি হবো
অক্ষরে মেঘ শব্দ যেবার অমনিই ঝরে যাবো
৫।। ∆ রেলিং এ ডোরা ডোরা গতমাসের বিবাহ বার্ষিকী ∆
একটি কার্তুজ
নিশানা টোল খাচ্ছে উপত্যকায়
ছুটে গেলে মৌন বিছায় শীষ
পাখিদের যুদ্ধগত বাসায়
নিখোঁজ অরন্য হৃদপদ্মনাভী
আর তার কারেন্ট পাসপোর্ট।
গত মরশুমে হরিণ জল ছিল পিলুং ঝর্ণায়
প্রবাসী উপত্যকা টাটকা জয়ীতা কাশ্মীর
আর একটি ইলেভেন্থ আর্য রমণী
ওরা সব বাড়ি ফিরে গেছে জমে গেছে সীমাহীন
দৃঢ়তা খুঁজতে এসে নদী হবো সে উত্তাপ ছিলনা আমার
তবু বলি মন্টি মনা এসপ্তাহ কিচ্ছু হবেনা
হাতখালি ড্যামেজ কার্তুজ
পাকা রোদ মুশম্বি বাগানে কিছু নষ্ট করেছি
নষ্ট জানালা গায় কাঁঠালের মাছি
রেলিং এ ডোরা ডোরা গত মাসের বিবাহ বার্ষিকী
আমাকে শুয়োর দামে বেচে দাও সীমান্ত রক্ষীরা ফিরেছে
একটি কার্তুজ
নিশানা টোল খাচ্ছে উপত্যকায়।
অলংকরণ - অমৃতা নায়ক
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
No comments:
Post a Comment