কবি কুমারেশ তেওয়ারী’র কবিতা-
১।। ∆ ছুঁচসুতো ∆
সেলাইয়ের পাঠ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, আত্মমগ্ন হই
যেখানে যা ছেঁড়াফাটা, জাগতিক বিস্ফোরক ভ্রম
আনাড়ি আঙুলে রাখি নবিসের সেলাই প্রয়াস
আলোর পর্দার ফাটা অংশ দিয়ে জায়মান কালো
অন্ধকার, ঢুকে আসে ভাঙনের কাল স্রোত হয়ে
সেখানে সেলাই দিই তড়িঘড়ি, অমৃতজাতক
ছুঁচের ছিদ্রের পথে সুতো পরাবার কালে দেখি,
ওইপারে অভিসার, বৃন্দাবন, বিনোদিনি রাই
গোপন হাঁড়িতে রাঁধে হিরণ্ময় ভাতের সুঘ্রাণ
বিত্রস্ত আলোকে ঠাট, বিভঙ্গের সামান্য বদল
টেরিকাটা শ্যাম দেয় অনন্তের ফুঁয়ের নিদান
এখনও অপাপবিদ্ধ, থেকে থেকে তাহার বাঁশিটি
কঠিন আখরোটের হৃদভেজানো মর্মধ্বনি তোলে
সুতোতে নিদান রেখে ছুঁচছিদ্রে সযত্নে পরাই
রাই অঙ্গ ছুঁয়ে সুতো শ্যামতনু কেমনে বেড়ায়!
২।। ∆ গৃহ ∆
আমার যে ঘর, তাকে গৃহ বলতেই ভালোবাসি
আমাকে প্রাচীনপন্থী যদি বলো
পদাবলী থেকে শুনিয়ে দেবই আনপথ কথা
বিদ্যাপতির ‘তাতল সৈকত’ থেকে
তপ্ত বালি এনে দেখাবো তোমাকে
বালির হৃদয়ে এখনও রয়েছে লেগে
অনন্ত পিপাসা
শুদ্ধ ও কোমল নি-র দিকে ঠেলে দিয়ে
তোমার পায়ের গোছে বেঁধে দেব নাচের ময়ূর
অতঃপর নাচ-মুদ্রাটির থেকে তুলে নিয়ে
ফুলবন
আমারই ঘরের কাছে এসে চেঁচিয়ে ডাকবো,
ও আমার গৃহ দরজা খোলো
হ্যাঙ্গারে ঝোলানো জামাটির ছেঁড়া বোতাম এখন
খোঁজ করবো আমি, চোখের নিশিপদ্মে নীল আলো জ্বেলে
ছুঁচসুতো কি সেতু হয়ে উঠতে পারেনা? সম্পর্ক সেলাই?
৩।। ∆ মৌচাক ∆
No comments:
Post a Comment