কবি নিমাই চন্দ্র জানা’র কবিতা-
১.
∆ কলঙ্ক পাথর ∆
অঞ্জনদার সাথে সক্রেটিস হয়ে গেলাম
ব্যাবিলন সভ্যতার নিচে যে করোটি গুলো এখন ঘুমিয়ে থাকে তাদের নাকি শরীরের রক্তে হিমযুগের জোনাকি সহবাস ঘটিয়ে ফেলেছিল পুরাতত্ত্ব কালেই
আমি এগুলোকে ঔরস ভ্রম বলি না
এগুলোকে একটা পূর্ণচ্ছেদের অভিলম্বের দিকে কাত করে শুইয়ে রাখি স্থলপদ্ম নেশায়
আমার শরীর থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো কলঙ্কের পাথর ঝরে পড়ছে বৃষ্টি দিনে
তাই ,আমার ঠোঁটে বিটুমিনাসের লিপস্টিক চওড়া পাথর হয়ে আছে
২.
∆ বাবা ∆
পায়ের গোড়ালি থেকে পাথরকুচির চারাগাছ বেড়ে উঠছে তিন পুরুষ কঙ্কালের
প্রাণিবিদ্যার ভেতর যত রকমের বীজের অঙ্কুর থাকে
তার দিকে পাশ ফিরে ঘুমোলে অন্ধকারের স্বপ্ন দেখতে থাকি রাত আড়াইটের পর
পাতার নিচে এত ঘন অন্ধকার কখনোই সহ্য হয়নি
যে রাত্রে ঈশ্বর ছুঁয়ে যায় সেই রাত্রিতে গ্রহণের দোষ ছিল মায়ের তলপেটে
মহা ঈশ্বর নক্ষত্রের নাভিমূল থেকে নরম ঘাসের মত বেরিয়ে পড়ছে আদিম সঙ্গম ঘোরে
জমজ ঈশ্বর , পুরুষের পাতায় নীল হয়ে ফুটে উঠছে জবা ফুল
৩.
∆ বিছানা ∆
আমার বিছানা একটি গভীর সংক্রমণের চাদর
হলুদ রঙের বুদ্ধ শরীরের কিছু অসুখ সারিয়ে তোলে মহৌষধি বিশল্যকরণী
লুকিয়ে আছে নিভৃত সরীসৃপ লতানো চারা গাছ
কালো কালো বিষধর সাপেরা উল্টো মুখে চাঁদের কথা বলে
চাঁদ থেকে নাকি এইমাত্র আমার মধ্যে অমৃত পাত্র রেখে গেছে শুক্র গ্রহের কোন মাটির পাত্র মৃত্যুর কাছে এসে মানুষ কেমন গুটিয়ে যায় ব্যঞ্জনবর্ণের মতো
চাদরটি নিরাকার হলে জোনাকি কর্ণিকায় জন্ম দেয় আরেকটা গভীর মৃত্যুপ্রহরের
৪.
আমার বিছানা একটি গভীর সংক্রমণের চাদর
হলুদ রঙের বুদ্ধ শরীরের কিছু অসুখ সারিয়ে তোলে মহৌষধি বিশল্যকরণী
লুকিয়ে আছে নিভৃত সরীসৃপ লতানো চারা গাছ
কালো কালো বিষধর সাপেরা উল্টো মুখে চাঁদের কথা বলে
চাঁদ থেকে নাকি এইমাত্র আমার মধ্যে অমৃত পাত্র রেখে গেছে শুক্র গ্রহের কোন মাটির পাত্র মৃত্যুর কাছে এসে মানুষ কেমন গুটিয়ে যায় ব্যঞ্জনবর্ণের মতো
চাদরটি নিরাকার হলে জোনাকি কর্ণিকায় জন্ম দেয় আরেকটা গভীর মৃত্যুপ্রহরের
৪.
∆ জীবাশ্ম ∆
মৃত্যুর পর আত্মীয়রা ঘুমিয়ে পড়ে আবার পাতার তলে যে সম্পর্ক থাকে সে জলের মতো দৃষ্টিভ্রমে পায়ের আঙ্গুলের কাছে শুকনো পাতা আত্মহত্যা করে নিজের বুকের কাছে এসে ত্রিকোণমিতির সবকটি গণিত সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে পাথর ছুঁয়ে গেছে মহাকালের
জাতিস্মর পদ্মাসনে বসে আঙ্গুর পাতার মতো বেয়ে গেছে আজন্মকাল
সব মেঘেরাই উড়ে চলে পরিযায়ী সাপের মত তাদের শরীর ক্রমশ রঙিন হয়ে যাচ্ছে বিষধর চুম্বনে
৫.
∆ সায়ানাইড ∆
আমার জামার ছয়টি পকেটে সায়ানাইড ভরে নিয়েছি
বিষের তীব্রতায় আমার ঠোঁট থেকে হলদে রঙের জোনাকি সঙ্গম ফেলে মিলিয়ে গেল মহাকাশে আমি এখন হাতের আঙুলে তীব্র অবৈধ চাইছি চাঁদের নিম্নাঙ্গে যে রক্ত লেগে আছে
আমার বুক পকেটে সেগুলোকে ভরে নিতে চাইছি ভর সন্ধ্যেবেলায়
আমার বিছানার তলায় কোন অবৈধ দাগ রাখতে চাই নি
সায়ানাইড আমাকে কোনদিন ঈশ্বর দেখায়নি ঈশ্বরের জন্য একটি ফাঁকা মাঠ,আর একটি বাঁশির দরকার
আমার জামার ছয়টি পকেটে সায়ানাইড ভরে নিয়েছি
বিষের তীব্রতায় আমার ঠোঁট থেকে হলদে রঙের জোনাকি সঙ্গম ফেলে মিলিয়ে গেল মহাকাশে আমি এখন হাতের আঙুলে তীব্র অবৈধ চাইছি চাঁদের নিম্নাঙ্গে যে রক্ত লেগে আছে
আমার বুক পকেটে সেগুলোকে ভরে নিতে চাইছি ভর সন্ধ্যেবেলায়
আমার বিছানার তলায় কোন অবৈধ দাগ রাখতে চাই নি
সায়ানাইড আমাকে কোনদিন ঈশ্বর দেখায়নি ঈশ্বরের জন্য একটি ফাঁকা মাঠ,আর একটি বাঁশির দরকার
অলংকরণ- মেহবুব গায়েন
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
No comments:
Post a Comment