সব্যসাচী মজুমদার এর কবিতা-
১.
∆ কুলুঙ্গি ∆
যে কুলুঙ্গির মোহ ছাড়িনি কোনওদিন
এখনও রয়ে গেছে আবির ও পুরনো পেরেক গুচ্ছ তাতে
প্রত্যেকটা ছবির সঙ্গে জুড়ে থাকে এই কুলুঙ্গিরা
মনে আছে অইখানে চিঠি রেখে হারিয়েছিলেন ভরে পাওয়া লোক
কুলুঙ্গির মোহ ছাড়িনি কখনও
কুলুঙ্গির তলা থেকে
তাকিয়ে রয়েছে ঝিঁঝিঁ
আকাশে অনেক তারা
তখনই মনে পড়ে প্রতিটা সহজে ছিল
দাম্পত্য ঈশারা...
২.
∆ সারাদিন ∆
সারাদিন এসে কৃকলাশ ছুঁয়ে যায়
আমি ফিরি জলে জল ফেরে বর্ষায়
একা হয়ে যাওয়া বাড়িটার স্তনে মৃদু
হাত দিয়ে বোঝে ডিসটোপিয়ান ঋতু
ভাত মাখবার আলো মিশে যায় ধানে
একা হয়ে যাই দহলিজ সন্ধানে
ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ি আর ত্রাসে
শিশু হাত ভাসে দেখি যোনি পথ ভাসে
পরোজে লেগেছে বিহ্বলতর স্তন
না খেয়ে মরার যতটুকু সঙ্গম---
রং হয়ে যায় ভ্রণলিপিটির মতো
এ জীবন বোঝে অবলোকিতের ক্ষত!
৩.
∆ জনম জনম ∆
জনম জনম জলে ছাই পড়ে আছে
আর বায়ুস্তরে ঘটে ইস্কাবন
তারপর থেকে এ শ্রাবণ বিবলিকে
কখনও লিখিনি ইস্তেহার
কেন লিখিনি তা
ভেসে যাওয়া মাছের প্লাস্টিক আর জানে রহস্যের মিথ
আমার এই বরষা ধারনায়
যুগে যুগে সামান্যই ঘটেছে লিলিথ
৪.
∆ মাশরুম ∆
এই ভেপে ওঠা বাড়িঘর
এই বৃষ্টি মিথ ও নিষ্কম্প ভোর
কেবল সন্তান চায়
অনাদি অনন্ত পুত্র কন্যা চাইতে চাইতে
একজন বাঙালি কবি হয়ে যায়
যার ছিন্ন শিরে ঝিঁ ঝিঁ বসে আছে
ইতস্তত জোনাকি ভেসে যায়...
৫.
∆ অরণ্য ঢেউ ∆
আমাদের অরণ্য ঢেউ আমাদের চুম্বনেরা
রজঃ দোষ করেই থাকে।যতদূর সিজদা ঘেরা
দুজনেই হাঁটতে গেলে আঁচড়ায় চড়াই পাখি
লিঙ্গেরও অপার্থিবে তামসের মতন থাকি
তবে কী পাল্টাবে না আমাদের প্রামাণ্যসুখ!
আরে এই প্রপঞ্চময় আমরাই গুগলি শামুক।
হাঁসে খায়।দৈব জনেও।জলে যাই অসাবধানে।
ও মায়ের বাঙালভূমা,যোনিহীন শিশুর কানে
বলে দাও এই ছায়ানট আমাদের মৌল দাবি
আয়াতে মানুষ একা... কোরাসে পদ্মনাভি
আমাদের অনন্য তাপ আমাদের দেশ মুসাফির
আমাদের সায়ান্হকাল আমাদের জয় রঘুবীর
সবই এক জীঘাংসাধ্বক সবই এক মীরার ভজন
আমাদের রেশন কালে ধাঙড় এই আমরা ক'জন
ছবি- মেহবুব গায়েন
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
No comments:
Post a Comment