অশোক অধিকারী’র কবিতা -
∆
প্রিয়েরে দেবতা
সন্ন্যাসের আগে সে এক নারীর বিছানায়
দু'বার শুয়েছিল। বৈরাগ্য অথবা বালিশের
একটিকে বেছে নিতে সে গলায় পরেছিল রুদ্রাক্ষ।
শ্লোক পর্ব শেষে প্রণাম রেখেছিল বৃহন্নলার পায়ে;
গঙ্গা স্নানের আগে পড়েছিল গীতা।
ফলের আশা অথবা নিষ্কাম কর্মের দোহাই
দিয়ে মানুষ বারবার খুঁজেছে নারী।
∆
আমার মল্লিকা বনে
বনবাসপর্ব শেষে তুমি একটা ‘না’শব্দ
উচ্চারণ করতে সাহস পেলে না।
ফলমূল শাকান্ন অল্প আগুনে সাদাভাত
ঘৃত মধুর পরেও একট শব্দ এত দামী।
গোটা মহাকাব্য জুড়ে এত পৌরুষ কান্তি
তার পাশে বাল্মিকী রেখেছিল আগুন।
সবটুকু খেয়ে সেই যে স্থবিরতা নিলে
তারপর থেকে নারী শুধুই নারী।
∆
মালা ডাক
ঐ মালা আমার।
ফুলগুলো বিরক্ত হয়ে নড়ে উঠল;
সাদা সুতোর বহমানতা এত বিধর্মী যে
গলার বাছ বিচার করেনা।
ঐ মালা আমার।
নিলামে তুলেছে যে পুরুষ তার
লিঙ্গ স্নানে অগাধ ঢেলেছি ডবল টোন দুধ।
তবু,বর রোজ রাতে বিছানায় রাখে চিতাকাঠ;
শরীর পাল্টে পাল্টে একবার মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য
আর একবার কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ;
ছবি- বিপ্লব ভূঞ্যা
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
No comments:
Post a Comment