[] কীর্তিনাশা
এক অদ্ভুত জ্বরের মধ্যে ছলাৎছল।
শুধু একবার রাখো হাত, বদল
শুধু নিঝুমেই হয়।
দেখো, একবার অস্ফুটে ডেকে ওঠে।
তার অন্ধকার সেই জানে দরজার আড়ালে
কিভাবে স্বর্গবাস পেরিয়ে গেছে, তবু দাঁড়ালে
আজ হঠাৎ করেই নিষিদ্ধকরণ লিখতে হয়।
তুমি জানো, বন্ধ দরজায় ফুল ফুটে ওঠে।
তবু নিঃশব্দেই কিছু মনে রাখা যায় না
জ্বরে, ছিঁড়ে যায় নিভৃতে ভালোবাসা, পায় না
তুলে রাখবার জন্য দু আঁজলা জল।
ভয় নেই। ছলাৎছল। একটু আমাকে
ভাসিয়ে নিয়ে যাও, অনুজ্জ্বল...
চোখ বুজে রাখি। শয্যা ক্ষয়।
[] মরণের পরে স্রোত আসে
সফেন হাতে তোলা থাক প্রান্তরপৃথিবী--
নম্রতার অপরাধে সংকেত পীড়িত হলে,
ভুলে যাই নশ্বরতা...
চাইনি রাতারাতি পাল্টে যাওয়া আলোর
আড়ালে দরজা খুলে দিক কেউ,
এ দেহে কখনো থামে না অপচয়...
পরিচয় ? হারানো প্রত্নে থেমেছে লিখন,
ছায়াসম্বল এটুকুই,
বুকের ভেতর নিঃশেষিত ছল উপমায়
জ্বেলে রাখে আগুন যতক্ষণ না মরণের
পরে স্রোত আসে যমুনায়...
[] মরণের পরে স্রোত আসে - ২
ব্যর্থ কবিয়াল আমি।
জ্যোতিঃপাতে চিরায়ত মুখ
থমকে দাঁড়ায়,
বিচিত্র অনুনয় নিঃশব্দে তুলে
রাখো নষ্টপ্রবাহ, কালো লাগে...
অশুদ্ধ প্রণিপাতে কোথায় আনলে আমাকে ?
থাক অন্তরায়। মৃগশিরা ফেটে যে লালনগানে
ধুয়ে গেছে শরীর,
চিহ্নিত করো, মারো অশ্বক্ষুরে !
নদী চাই স্পর্শহীন অন্তরে।
কম্পনে আজও খুলি অন্ধকার...
পড়ি নিপুণ লোভ,
ঔরসজাত স্তব্ধতায় কেটে গেছে নীলিমা।
উপনীত জন্ম কেন অখন্ড ?
অগ্নিমুখে মরণ আজও বড় মৃদু,
ভাঙে শ্বাস দৃশ্যমান মিথ্যার আড়ালে !
অলংকরণ - কনিষ্ক শাসমল
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
No comments:
Post a Comment