কবি মাসুদার রহমান এর কবিতা-
১।। ∆ সহজ ∆
আলো খুব সহ্জ, জানালা বন্ধ করে দিলে ভিতরে আসে না। বাতাস সরল তাই সোজা পথ ধরে যেতে গিয়ে আছড়ে পড়ে জটিলের গায়ে। ভোরবেলা, পাখিরা ঘুম থেকে জেগে বাঁশবনের ভেতর আলো ও বাতাস সম্পর্কিত এইসব কথাবার্তা বলাবলি করছে তীব্র ও তুমুল মাত্রায়
আমিও গায়ের শার্ট খুলে দাঁড়িয়েছি সহজ আলোয়। আমাকে দেখো, আমি ঠিক কতটা জটিল! বাতাস আসছে, পরনের সবুজ লুঙ্গি ফুলে উঠছে বেলুনের মতো
ভোরবেলা, আলো আসছে। আলোর মতো সহজ রবীন্দ্রনাথ
২।। ∆ জার্নি বাই সাইকেল ∆
সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লে চাঁদের প্রসঙ্গ এসে যায়। নিবিড় সন্ধ্যা। মিউজিক্যাল অন্ধকার গড়াতে থাকে
ধানমাঠ। ধূ ধূ ধানমাঠ... ওর হাতের রেখায় আঁকাবাঁকা মাটির সড়ক। সাইকেলে বেরিয়ে পড়েছি বলে পোষাকুকুর সেও পিছু নিতে থাকে
সন্ধ্যার আকাশে জ্বলে এক থালা চাঁদ
সাইকেল গড়াচ্ছে। পেছনে আসছে আমার কুকুর। আমাদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছে রানু’দির পোষা চাঁদ
৩।। ∆ সন্দেহ ∆
‘বাঘের পায়ের ছাপ!’
শুনে মেয়েটি বললো, -এখানে আবার বাঘ, হয়তো বিড়াল এসেছিল
একটি বাংলোবাড়ি। আর কোন বাড়ি নেই
তাকে ঘিরে আদিগন্ত দুপুর ও ধানখেত
বাতাস দুলিয়ে যাচ্ছে হলুদ শরীরে কালো ডোরাকাটাগুলো
৪।। ∆ চারাগাছ ∆
ফল খেয়ে মাঠের মধ্যে কেউ বিচি ফেলে গেছে
গজিয়ে উঠেছে চারাগাছ
আমি ওর পাশে গিয়ে বসি
বলি, -নাম কি গো মেয়ে?
মৃদু বাতাস শরীরে নিয়ে চারাগাছ কুটি কুটি হাসে
বলি, -বেলা পড়ে এলো মেয়ে
এই বিরানমাঠের থেকে অনেক দূরে লোকালয়
সন্ধ্যার আগে ঘরে পৌঁছবে কি করে !
৫।। ∆ না-লেখা কবিতা ∆
দেবলীনা সরেনকে মনে আছে
ভরাট গড়ন। মুখ ভর্তি নিপুণ বিন্যাস্ত
সাদা দাঁত
হাসলেই কালো ত্বকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতো
দিস্তে দিস্তে সাদাকাগজ
তবু কেন কবিতা লিখিনি!
অলংকরণ - মেহবুব গায়েন
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
মাসুদার বন্ধু , তোমার কবিতা পড়ে শান্তি পাই | ,বেঁচে থাকাটা আরো কিছুটা নিবিড় সবুজ হয়ে ওঠে | মনে হয় সমস্ত সংসারবাড়ি আর আমাদের অলৌকিক পৃথিবীর ছোটো ছোটো সুখ দুঃখ বড়ো বেশী প্রসন্ন হয়ে উঠছে জীবন্ত ও আপেক্ষিকতার উর্ধে | সে তোমার কলমের শক্তি আর আমাদের বেঁচে থাকা ...
ReplyDeleteভালোবাসা জেনো বন্ধু।
Deleteখুব ভালো লাগলো।অন্যান্য কবিতা থেকে বেশ আলাদা
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteধন্যবাদ।
Deleteধন্যবাদ।
Deleteছোট ছোট স্কেচ,তাতে কবির বিস্ময় লেগে আছে। সুন্দর লেখা, মাসুদার।
ReplyDeleteভাষার এই সারল্য কবিতার যদি এত রহস্যময় অগোচরকেও অনূদিত করতে পারে কেন তবে ভাষাকে জটিল করি এত !... ধন্যবাদ মাসুদার প্রবাহিত থাক গোটা পর্যটন ঋতু !
ReplyDeleteধন্যবাদ সবাইকে।। পাশে রাখুন।। কবিতা পড়ুন।।
ReplyDeleteমাসুদার রহমান এর কবিতা পড়লেই ভালো লেগে যায় সব কিছ।
ReplyDeleteমাসুদার রহমান এর কবিতা পড়লেই ভালো লেগে যায় সব কিছ।
ReplyDeleteআহা! কী মায়াময়!♥
ReplyDeleteসহজ ফুলের সুরভি। সাবলীল শব্দের টানে মায়াময় অনুভবকে নির্গমনের পথ করে দেওয়া। অভিনন্দন মাসুদারভাই।
ReplyDeleteসহজ ফুলের সুরভি। সাবলীল শব্দের টানে মায়াময় অনুভবকে নির্গমনের পথ করে দেওয়া। অভিনন্দন মাসুদারভাই।
ReplyDeleteকবিতাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। সহজতার আড়াল । চিত্রকল্প আর কল্পচিত্র।
ReplyDelete