∆
যদি কবিতাকে প্রশ্ন করি
যদি কবিতাকে প্রশ্ন করি
চাকাতে তাঁদের দমিত করা কি ঠিক?
আঙুলের পাঁচখানা দাগ এঁকে দেওয়া কি ঠিক?
তবে একবাক্যে বলবে..... হ্যাঁ
চামড়া ছিলে দেওয়া কি
তাদের ধর্ম নাকি অধিকার
তবু তারা নিঃসন্দেহে এগিয়ে এসে
লাঠির সরলরেখা চোখ বন্ধ করে
হিসেব করে দিতে পারে।
চামড়া মুখ হাড় দেহ আজ একাকী
তাদের সঙ্গী স্বপ্ন এবং ঘুমহীন চোখ
আর চারিদিক ছিটিয়ে দেওয়া
এলোমেলো বাক্য
যেগুলো ভীষণ নিষ্পেষিত নীরিহ
তারা শুধু হাত বাড়িয়ে সকাল খুঁজে
বেঁচে থাকার.....।
∆
মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়
এতদিন যাকে সোহাগের আকাশে মুড়ে
প্রহর গুলো এগিয়ে নিয়ে এসেছি
শৈশব যৌবন বার্ধক্যের সূচিপত্রে
যাকে না পাওয়ার শব্দবন্ধনে বেঁধেছি
আজ আচমকাই তার চলে যাওয়ার পালা
নীরব নিকষ অমাবস্যা তাকে আহ্বান করে
চারিদিক আলোকিত করে... তাদের জীবন
অন্ধকারে নিমজ্জিত করার সভ্যতা
শতাব্দী পেরিয়ে আজও... জয় চিৎকার শোনা যায়
সংখ্যা গণনা আজ আরও দ্বিগুণ
এ বর্বর রক্তরঙের উন্মত্ততা
মালাকাঠে নিশ্বাস বন্ধের কারসাজি
সবই সময়মাত্র রাক্ষসরূপী স্বভাবের আস্থা
এ কোনো আনন্দের উল্লাসমঞ্চ নয়
অন্ধকারের সঙ্গী হয়ে রক্তধারার আতশবাজি
মুখশ্রী ভোলা যায় না
ছেড়ে দেওয়া যায় না
তবুও অশ্রুধারা দিয়ে শেষ মূহুর্তে ভোলার ভান করে
...মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়।
∆
একটা বিপ্লব
ললাট এবং সিন্দুকে
দীর্ঘস্থায়ী... বুলেটের দুটি বিদীর্ণ গর্ত
তবু বেঁচে আছি
আরও রক্তাভ আবরণের জন্য
কাঁদতে এক জন্ম পূর্বেই ভুলে গেছি
বিপ্লবের জন্য
এখন শুধুই
আমি এবং আমার মন
পরস্পর
দু চোখ দু হাত দু পা এবং অর্ধ জীবন
বিস্ফোরণের বিপ্লব বাঁধে
এক একটা প্রাচীরের পর প্রাচীর।
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••