Thursday 21 March 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌

প্রসেনজিত রায় এর কবিতা -


আগামীকাল 

আগামীকাল তোমাকে সব কথা বলে দেব--- 
কেন মাথা নীচু করে হাঁটি, ঢিলেঢালা পোশাক পরি,
কথা কম বলি, 
কেন বিশ্বস্ত অসুখের মতো জীবনকে ভালোবাসি?

এসব কথা অপেক্ষার মতো দীর্ঘ একা পথ,
রাতের মতো একা, দিনের মতো একা!

এ পথে এখন আমি ছাড়া, আর কেউ আসে না,
এখানে পড়ন্ত বিকেলে তোমার আমার মাঝে ছাই ওড়ে রোজ... 

তবুও অপেক্ষা। আগামীকাল তোমার জন্মদিন।


জানি, তুমি আসবে না।


∆       
শীতকালীন ৪

যাকে শেষবার ছুঁবো বলে শবগাড়ির পিছন পিছন ছুটে গেছি,
শশ্মানে এসে দেখি, সে আমার কেউ না!
এখানে মানুষ মহাকাল। বন্ধু ও শত্রু ভুলে যায়। 

আমি দূর থেকে প্রণাম করে ফিরে আসি।

এই শরীরটাকে একদিন গাছ হতে দেখেছি 
কত পাখি এসে বসে, ঘর বাঁধে
পাতা জুড়ে আলোছায়া, রান্নাবাটি খেলা

অথচ এই শীতকাল, এখন শুধু পাতা ঝরার সময়....


মায়া

স্বপ্ন মরে গেলে মানুষ পাথর হয়ে যায় 
কেউ কেউ পাথার কেটেকুটে ঐশ্বরিক রূপ নেন

আয়ু আর ক্ষয়ের মাঝে যেটুকু হারালাম, সেটুকুই মায়া

আলোর মতো দৈবিক অন্ধকারে যা কিছুই পাওয়া যায়, 
সবকিছুই হারিয়ে ফেলি আমরা।

ছবি - মেহবুব গায়েন‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••


                                                   

Wednesday 20 March 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌
 
লক্ষী‌ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় এর কবিতা -


দীক্ষা


তোমার সাথে দেখা হবার কথা কি আমার ছিল?

তুমি বলবে‌, 'জানি না।' তুমি বলবে, 'যা হচ্ছে হতে দাও।'

তোমার মুখে মুখে ঘোরে বিজ্ঞান,'বিপরীত মেরুর‌ই আকর্ষণ বেশী।'

অথচ,

বুকের ওপর তুমি অবলীলায় ধরে রেখেছ পবিত্র বাইবেল,

তোমার আঙুলের স্পর্শে আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছে কাঁটার মুকুট। হাঁ করে শুনছ লুথার, ক্যালভিন!

পায়ের পাতা ছুঁয়ে গেলে, বুকের ভেতর বসে থাকা বিশ্বাসঘাতক জুডাস,স্পর্শজাত শিখায় উত্তপ্ত করে নিচ্ছে হাতুড়ি!

হৃদপিন্ডের ওপর গেঁথে যাচ্ছে একটার পর একটা পেরেক।

তোমার ক্যাথোলিক বুকের ওপর প্রোথিত হোক সাতানব্ব‌ই হাজার নিবন্ধ! 

লেখা থাক "ওমনিয়া ভিনশিট অ্যামোর: এট্ নোস সেদামুস অ্যামোরি।" 

প্রটেস্টান্ট হতে গেলে, ঝড় উঠবে নিশ্চিত। 

নির্বাসন‌ই হবে আমার শাস্তি, 

তবুও কি তোমার মনে প্রশ্ন জাগবে না,'সমমেরুর‌‌ও কি আকর্ষণ করার ক্ষমতা ছিল?'


খাবার


খাবার খাওয়ার বিবিধ নিয়ম!

কেউ খায় গোগ্রাসে, কেউ খায় রেখে রেখে,

কেউ কেউ খাবার আগে মন্ত্র বলে, 

"ভোজনেচ জনার্দনম্ !", ছড়িয়ে দেয় জল।

কারো কারো খাওয়া ভীষণ যত্নের-

আসনের সামনে পঞ্চব্যঞ্জন এনে রাখে গৃহলক্ষ্মী, 

পাশে বসে তুলে নেয় হাতপাখা।

কারা যেন খায় খুঁটে খুঁটে?

কোনো দেশে খায় এক হাতে, কোনো দেশে দু'হাতে।

একমুঠো'তে চোখ জ্বলে ওঠে কারো কারো, হর্ষে;

কারো আবার মুঠো মুঠো খেয়েও বিষাদ জমে ওঠে,

কোনো কিছুতেই তখন আর পেট ভরে না,

ধীরে ধীরে সে খেতে শুরু করে সবকিছুই - 

চাল, ডাল, আলু, টাকা-পয়সা, ঘর-বাড়ি, জমি-জায়গা, 

শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, নিয়ম-কানুন, আইন-আদালত, একটা রাজ্য, হয়তো একটা দেশ‌ও…


মা

হারিয়ে ফেললাম আংটি, 

বোধহয় আরো একটা...

হারিয়ে ফেলেছি বাজুবন্ধনী, 

রূপোলী হার, একে একে সব‌ই - 

ফের হারিয়ে ফেলব জেনেও,

ফেরার আগে, কী বিশ্বাসে 

আবার কড়ে আঙুল কামড়ে

হাতের ওপর বেঁধে দিচ্ছ বিপদতারিণী'র লাল সুতো!


ছবি- মেহবুব গায়েন‌

••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌

মহা‌ আকমল হোসেন এর কবিতা -

আমাকে ঘুমোতে দাও


একটা আগুনের নদী পার হয়ে এসেছি। আমাদের শরীর সম্মোহিত রক্তমাংসের নৌকাগুলি নোঙর করছে

এক অলৌকিক ঘাটে।

পরজন্মের কোন বৈষ্ণবী তার প্রেমিক ছায়ার পাশে একতারা নামিয়ে বলে ওঠে -প্লিজ আমাকে ঘুমােতে দাও।

আমাকে ঘুমোতে দাও-

রাতের বাহু প্রসস্তির ভিতর! 


সহজিয়া 

 
সহজিয়া নিয়মে এখানে শীত আসে

পাথরকুচি রোদে। 


 নিকানো বারান্দা আর- 

 একতারার তারে দোয়েল বার্তা এলে

 তুমি শুখোতে দিও সনাতন রঙের শাড়ি।

 পার্থিব ভিক্ষার শেষে জ্বালবে ফাল্গুনী লন্ঠন। 


পদাবলী 
 
সখি 

বাঁশি কিনে নেবো এই দোলের আগে

 চৈত্রের সংক্রান্তির শেষে উঠোনে পুতে দেবো একটা কদম গাছ।

শ্রাবণী এলেই যাব যমুনার ঘাটে 

সমস্ত অপবাদের ওপারে বসে লিখব তের খন্ড পদাবলী।

ছবি- মেহবুব গায়েন‌
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

Tuesday 19 March 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌
কৌশিক চক্রবর্তী’র কবিতা -

ফ্যারাওয়ের চোখ


নির্ভাবনায় আঙুল তোলো মুকুটে
খর্ব হয় নির্জনতা
বিপথে ছড়িয়ে যায় ঝুরঝুরে বালি
যে গাছে বেয়ে ওঠে লতা
তার দিকেও এসে পড়ে বিরুদ্ধ নজর-

অসহায় কুঞ্জদিনে পা ফেলি ঘাসে
লুকিয়ে পড়ে নদীর অসুখ...
এখনো নিরস্ত্র জিভে
জেগে ওঠে বিচ্ছিন্ন প্রপাত...

বিপরীত স্রোতে সিংহাসনের টুকরো
অচেনা নৈশদিনে ঘুম নামে ফ্যারাওয়ের চোখে... 

বটগাছের অপারগতা


সারা পৃথিবী যখন ঘুমোয়,
আমি একটু অন্ধকার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি দরজায়
ফেলে যাওয়া পাঁচিলের দিকে নজর থাকে রোজ
ঘুম না এলে অযথা পাহাড়ের কথা ভাবি-

নি:শুল্ক জানলায় হাত রাখার কথা বলিনি আর
যদি পুরনো দায় এসে পড়ে নগরকেন্দ্রিক শাসনে
আলোর বিপরীতে তখন নজর কাড়ব...

সারা পৃথিবীর কাছে আজ একটাই প্রশ্ন
সত্যিই দরজা কি অধিকারহীন?

ভেবে দেখব
পৃথিবী নয়
রাত্রির কাছে প্রশ্ন করা সহজ...

না ঘুমনোও ভালো
কিন্তু যতদিন না বটগাছের অপারগতা মানতে হয় প্রকাশ্যে... 

বিধর্মী মানুষ


বেড়ে যাক ততটাই দূরত্ব
সাহস ফুরোলে যেভাবে আঁতকে ওঠে সবাই
রুমালের গিঁটে বায়বীয় বাসস্থান
ধর্মসঙ্কটে পড়ুক দম নেওয়া পুতুল...

ঘাড়ে কোপ মারার জন্য কবরের তল্লাশি
শূন্যস্থান নামক যেকটি কবিতা ছিল
তারাই ছাপা হয়েছে নামী ম্যাগাজিনের পাতায়
শেষ পৃষ্ঠার কবিতা 'আঙুলহীন মানুষ'...

ঘেরাটোপে গেরুয়া দিগন্ত
নতুন করে দরকষাকষি হয় নি
গিঁট পড়েছে অবচেতনে
আরও দামী হয়েছে কৃষ্ণগহ্বর।

মেঘ জমলে সূর্যের নমনীয়তা স্পষ্ট
এই মুহূর্তে দরকার
অন্ধকার হাতড়ে বেড়ানো বিধর্মী মানুষ...  

ছবি- মেহবুব গায়েন‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌

অনিন্দিতা মণ্ডল এর কবিতা -

গুমরে মরায় কোনো দাগ থাকেনা

চোখের কাজল অশ্রু জমায়
বুকের পাঁজর মনখারাপ
পায়ের পাতায় শরীরের ভার
গলার কাছে শুকনো পাপ ।

কিছু ছায়া নিজেকে চেনায়
রক্তপাতে ভেজে অহং বোধ
ক্যালেন্ডারের দাগ বেড়েছে যত
গুলিয়ে গেছে অনাদরে রাখা শোধ ।

পাহাড় রাখছে নদীর বুকের ব্যথা
আকাশ শোনায় খুচরো রোদের গল্প
ক্ষিদের দিনে যারা ভরিয়েছে পকেট
তাদের চোখেও অনাহার অল্পসল্প।

ভাঙাচোরা মানুষ আঁকড়ে ধরে হাত
দুঃখ দিয়ে চিক টেনে দেয় দরজায়
চোখের জলের দাগ চেনা যায় সহজে
শুধু দাগ থাকেনা গুমরে মরা-য় ।


যারা হারায় ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় 

বোকা হাত ঘাম মুছে নেয়
সহজ করে শীতের রোদে
ফর্সা গালে লজ্জা নামে
মরশুমি ঠোঁট আড়ালে কাঁদে ।

অঙ্ক বাড়ে আনাগোনায়
সমাধান রাখা হলুদ মাফলারে
চিঠির খামে পুরোনো কৌশল
বেলা বাড়ায় অযথা কলঘরে।

খোলা ছাদে জোছনা এসে পড়ে
শিশির মেখে ভারী হয় বিনুনি
যে পাড়া শুনশান হয় সন্ধ্যেয়
সে পাড়ায় রাতে কোলাহল শুনি ।

খুঁটে রাখা সন্ধ্যারতির ভাপ
মানুষ রাখার নিখুঁত পদ্ধতি
যারা হারায় ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়
তাদের বোধহয় না ফেরাটাই রীতি।

আমাদের কোনো বাসা থাকেনা


বন্দর রেখেছে পুরোনো মানুষছাপ
ঋণের গায়ে ঠুনকো বেঁচে থাকা
ভরাডুবি জীবনের মোহ ছেড়ে
ছায়ারা খোঁজে বিষাদের ব্যাখ্যা।

রাত ছড়ায় ঘুমের ঘোরে বালক
যন্ত্রণা পেয়ে কুঁকড়ে ওঠে ভোরে
তার শুধুই ক্ষিদেরা রঙচঙে
এমন যথাযথ উপোসের ভিড়ে।

জোনাকিরা প্রহরী পাঠায় রোজ
চোখের জলের গন্ধ তারা চেনে
বিদায় মানে আবার ঘুরে আসা
অপেক্ষারা মন থেকে তা মানে।

ভগবানের কোনো দোষ থাকেনা আসলে
সবকিছুই মিথ্যে আলোর সান্ত্বনা
ক্ষিদের গন্ধ যাদের গা থেকে ওঠে
তাদের কোনো বাসা-ই থাকেনা ।


ছবি- মেহবুব গায়েন‌

••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

Monday 18 March 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী -শেষ পর্ব‌

রূপক চট্টোপাধ্যায়’র কবিতা -

লক্ষী হীন

এবছর অকাল বর্ষণে সব ধান পচে গেছে।
পচা ধানের খেতে অলক্ষ্মী শুয়ে থাকেন।

কৃষ্ণরঙ দেহের ওপর অনাবাদি কারুকাজ
পায়ের গোড়ালিতে একটু আলতা রঙ ভোর।

ঘুম ভাঙতে ভাঙতে এমন সকাল দেখা যায়
বহু গাঁয়ের পাড়ায় পাড়ায়। টিউশনি মুখরা
সাইকেলে অলক্ষী যায় বাবা কে নিয়ে

হলুদ ডানায় হা ভাতের ওড়না জড়ানো
বাবার ফুসফুস গলতে গলেত নিভে গেলে
বিশ্ব নিখিল
গড়িয়ে পড়ে যাবে খাদের অতলে।

অলক্ষী মনে মনে কেঁদে উঠবে না আর
সব কান্না নিয়ে গেছে অকাল বর্ষণে!


চুম্বন

প্রশ্ন বিজড়িত ঠোঁট
ওখানে চুম্বন নামবে কি করে?

কাঁচ কাটা জোৎস্নায় নিজের পরমায়ু খুইয়ে
ঘর ছেড়েছে হতভাগা। তারপর সারাজীবন ধরে
সেই পরমায়ু খুঁজেছে এখানে ওখানে,
ইতি উতি। মনোজ্ঞ ডাস্টবিন অথবা
সার্কাসের জোকার সুলভ জন সমাগমে!
অথবা দ্বিধা বিভক্ত পথের অসুখ নিয়ে
চলে যাওয়া গাঁয়ের ঠিকানায়!

তার কাছে সব প্রশ্ন-ই
গাছে গাছে ভারি হয়ে আসা ছায়া,
এলোমেলো ধান খেত, ধুলা মলিন বধ্যভূমি,
তীক্ষ্ণ নখের আগায় বসিয়ে রাখা কিশোর প্রেমিক!

বলো হে চুম্বন নামতে পারো কি তুমি
এমন কোনো কঙ্কালের পাথুরে কপালে?

ঘড়ি

পুরানো পোশাকের ভেতর ফেলে এসেছি যে শরীর
তার পুঁতি গন্ধ মাখানো
একটা সকাল এসেছিলো আজ।

কতোদিন পর বিগলিত ফুসফুসে নিয়ে তার সাথে
কথা বললাম। গল্পের গোছগাছ, চায়ের কাপ
টি টেবিলের পিঠে গুলঞ্চ ঝোপ, কাঁচপোকা
হাত থেকে পড়ে যাওয়া সরণিকায় ভোঁকাট্টা ঘুড়ি।

এমন সময় দেখি

সে হঠাৎ উঠে গিয়ে ঘড়ির কাঁটা গুলো ভেঙে ফেলে
নিজেই টিকটিক করে বেজে চলল
আমি চোখ বন্ধ করে দেখে নিলাম পৃথিবীকে!

ছবি- মেহবুব গায়েন‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

Sunday 17 March 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী - শেষ পর্ব‌

সৌমিত বসু’র কবিতা -

জীবন এক আশ্চর্য দূরবীণ

যতবার সূঁচের ফুটোর ভেতর দিয়ে
গলিয়ে দিচ্ছি রোদ্দুর
তুমি হাত বাড়িয়ে টেনে নিচ্ছ গর্ভের ভেতর।
আমাদের জীবন শেষ।মৃত্যু জেগে উঠে
বসে আছে বুকের ওপর।
আলো হারিয়ে সুঁচ হাঁ করে বসে রয়েছে খিদেয়।
ব্রিজের ওপর থেকে আমি যতদূর দেখতে পাই
তুমিও কি তাই পাও? বলো


খুশি তুমি নিজে হতে পারো কিংবা হরিণ।
মৃতের নীলাভ খাম দরোজার নীচ দিয়ে বয়ে আসে,
গলায় জড়িয়ে রাখো বটফল, তার আঠা এসে ঢেকে দেয় যোনিমুখ, মুখমন্ডল।
কোনো কোনো রাতে টাঙ্গির কোপে তার ভেঙে যায় ঘুম 
টপটপ ঝরে পড়ে চাঁদের টুকরো, মেঘ আর তারা।
পাতার পর পাতা উল্টে সে খুঁজে চলে সম্ভোগ চ্যাপ্টার,
ফ্ল্যাটের জানালা খুলে মুখ বের করে ভাইবোন, হারানো পিসিরা।

চুপচাপ সংসার ওড়ে
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের স্তুপ সে একা একা জোড়ে।জুড়ে চলে।
আলোগুলো দপদপ করে ওঠে
কিন্তু নেভে না।


বিনীত ঝাউপাতা থেকে ঝরে পড়া সংস্কার
আমি কুড়িয়ে কুড়িয়ে ভরে রাখি
খুব ভোরে কথাগুলি থেকে ধোঁয়া ওঠে
রাত্রিগুলি মাথা ঠোকাঠুকি করে বলে দেয় কঙ্কালের সরু পথ মাঠের ভেতর।
এভাবে সিরিজ জুড়ে আলো জ্বলে ওঠে।
বুকে ভর দিয়ে ছোবলে প্রস্তুত যারা গুড়ি মেরে তারাও কিভাবে ঢুকে আসে সিরিজের ডগায় আবার।
ঠোঁটে খুঁটে খাই।উড়ে বসি প্রতিবেশী ছাতে।সময় সুযোগমতো তুমি ইতিহাস সরিয়ে একবার সত্যি হয়ে ওঠো।

ছবি- মেহবুব গায়েন‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••