কবি অরিন্দম প্রধান এর কবিতা-
১।। ∆ বংশপুরুষ ∆
একটা ঘর এগিয়ে এল আমার দিকে
সর্বক্ষণ টর্চ দেখিয়ে গেল
ঘূর্ণি বাতাসে ফুলের পাঁপড়ি দুঃখ ভুলে
নৌকার পালে সাহস জোগায়
পাতা হাতে মা ভাতের অপেক্ষায়
একটা তালপাতার চাঁটাই দরকার
ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন বাবা
ঝুঁকে পড়া শরীরে সাজিয়ে দিলেন
এক পংক্তি দু পংক্তি...
পুরো ঘর জুড়ে শ্বাস-বায়ুর চলাচল
বাবা কান্ড হয়ে ধারণ করছেন আমাদের বংশপুরুষ...
একটা ঘর এগিয়ে এল আমার দিকে
সর্বক্ষণ টর্চ দেখিয়ে গেল
ঘূর্ণি বাতাসে ফুলের পাঁপড়ি দুঃখ ভুলে
নৌকার পালে সাহস জোগায়
পাতা হাতে মা ভাতের অপেক্ষায়
একটা তালপাতার চাঁটাই দরকার
ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন বাবা
ঝুঁকে পড়া শরীরে সাজিয়ে দিলেন
এক পংক্তি দু পংক্তি...
পুরো ঘর জুড়ে শ্বাস-বায়ুর চলাচল
বাবা কান্ড হয়ে ধারণ করছেন আমাদের বংশপুরুষ...
২।। ∆ শহর ∆
আলো নেভা দুর্দিনে কাঁপছে শহর
ছাদে শুকায় সস্তা ঘর-বাড়ি
কুমারী ছুটে ছুটে প্রান্তর কাঁপিয়ে এসে
নির্জন শাড়ি মেলে ধরে বুকে
বৈদ্যুতিক তারে ঘর-মোছা কাপড় ঝুলে
আশ্চর্য মানুষ তুই!
টিভি চ্যানেলে রঙবাতি জ্বলে
মেঘে মেঘে কথা হয়ে যায়
কালের সৌম্যরূপ ঢুকে পড়ে ঘরে
পথিকের চোখ নিভু নিভু
এহেন দিনে পাখি দুটি ধরা পড়ে।
আলো নেভা দুর্দিনে কাঁপছে শহর
ছাদে শুকায় সস্তা ঘর-বাড়ি
কুমারী ছুটে ছুটে প্রান্তর কাঁপিয়ে এসে
নির্জন শাড়ি মেলে ধরে বুকে
বৈদ্যুতিক তারে ঘর-মোছা কাপড় ঝুলে
আশ্চর্য মানুষ তুই!
টিভি চ্যানেলে রঙবাতি জ্বলে
মেঘে মেঘে কথা হয়ে যায়
কালের সৌম্যরূপ ঢুকে পড়ে ঘরে
পথিকের চোখ নিভু নিভু
এহেন দিনে পাখি দুটি ধরা পড়ে।
৩।। ∆ উঠোন ∆
নীচের দিকে তাকাই--একগুচ্ছ ধানের শীষ
রেখে গেছে মলিন বসন লক্ষ্মী
উৎসবের ধান
আলোছায়া রোদ জুড়ে বসে আছে উঠোন
ঠায় দাঁড়িয়ে লৌকিকতা
নীচুস্বরে বাতাস খুলে দেয় দরজা
দু-পা সিঁড়ি ও অনুভবে
উঠোন গোবরজল শুদ্ধ হল।
নীচের দিকে তাকাই--একগুচ্ছ ধানের শীষ
রেখে গেছে মলিন বসন লক্ষ্মী
উৎসবের ধান
আলোছায়া রোদ জুড়ে বসে আছে উঠোন
ঠায় দাঁড়িয়ে লৌকিকতা
নীচুস্বরে বাতাস খুলে দেয় দরজা
দু-পা সিঁড়ি ও অনুভবে
উঠোন গোবরজল শুদ্ধ হল।
৪।। ∆ জলতরঙ্গ ∆
চাঁদ এসে জলে পড়লে ফুঁপিয়ে উঠে তল
আমি খড়কুটো হয়ে ভাসতে থাকি
পূর্ণিমার জলে
এতো হাসাহাসি জলের মধ্যে ভালো দেখায় না
কত স্বর নেমে আসে স্পর্শ, কমা, কোলনে
আকাশের মেঘ ভয় পেয়ে লুকিয়ে রাখে চাঁদ
পূর্ণিমা বন্দর বদলায়
নিস্তেজ জলে চলে আমরন অনশন।
চাঁদ এসে জলে পড়লে ফুঁপিয়ে উঠে তল
আমি খড়কুটো হয়ে ভাসতে থাকি
পূর্ণিমার জলে
এতো হাসাহাসি জলের মধ্যে ভালো দেখায় না
কত স্বর নেমে আসে স্পর্শ, কমা, কোলনে
আকাশের মেঘ ভয় পেয়ে লুকিয়ে রাখে চাঁদ
পূর্ণিমা বন্দর বদলায়
নিস্তেজ জলে চলে আমরন অনশন।
৫।। ∆ মায়া কাক ∆
অন্ধ সময় বৌদ্ধগুহা ভেদ করে
ভেঙে ফেলে মানবিক দেওয়াল
মাটির শব্দে চাপা পড়ে প্রতিমা-চোখ
ঝড়ের বাসায় পালক উড়ে আসে
রঙের প্রলেপে ডানা ভারী হয়
সময়ের সাথে মায়ায় আবিষ্ট সূর্যদেব
রাত্রি ভেবে শিস দেয় একে অপরকে
মায়া কাক ও মেয়ে কাক
অন্ধ সময় বৌদ্ধগুহা ভেদ করে
ভেঙে ফেলে মানবিক দেওয়াল
মাটির শব্দে চাপা পড়ে প্রতিমা-চোখ
ঝড়ের বাসায় পালক উড়ে আসে
রঙের প্রলেপে ডানা ভারী হয়
সময়ের সাথে মায়ায় আবিষ্ট সূর্যদেব
রাত্রি ভেবে শিস দেয় একে অপরকে
মায়া কাক ও মেয়ে কাক
ক্যামেরা বন্দি - পৌলমি দেবনাথ
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
ভারী সুন্দর মনের কথা।
ReplyDelete