Tuesday, 4 August 2020

কবিতা

শাপলা পর্ব -১২

কবি প্রদীপ্ত খাটুয়া’র কবিতা-




১।।    ∆ ত্রান ∆



ছুঁয়ে গেছে হাত। পেয়েছি কী মন!
ধকল সারাদিনের। ত্রিস্তর নির্বাচন।

পাড়া থেকে মাঠ। সভা থেকে সমাবেশ-
পেয়েছি হাততালি। বলেছে লোকে
                      তোমার দিকেই জনাদেশ!

ভোটের দেশ। পান্তা ফুরোনোর আগে
কীকরে হয়ে যায় নুনের যোগান!

স্কুলে পোশাক মেলে। ডুবে গেলে গ্রামবাসী
উড়োপাখি ফেলে যায় বন্যার ত্রান...





২।।   ∆ আরোগ্য ∆



অন্ধকার আসছে। আচ্ছে দিন নয়!
ব্লগে লেখো যত কম, মেয়েরা কিন্তু আজও বিকোয়।

নির্মানে ঝুলে আছে ব্রিজ। কবির দিনলিপি।
দুবেলার রুটিরুজি। রিকসার দেখা নেই। সারি সারি
পিপড়ের মতো শব্দহীন টোটো...

উত্তাপ কতটা দিতে পারে রোদ! কতটা
অমানবিক হলে নার্সিংহোমের পথে বসে থাকে
শ্মশানবন্ধু! ফ্ল্যাশহীন ফটো!

কত ঘরে উঠেছে ফসল! আর কতটা অপচয়!
এ-দেশ আরোগ্য চাইছে, অসীম তুমি, হে করুণাময়...




৩।।     ∆ অভিমুখ ∆



লিখে রাখো পাশে, গতজন্মের বিস্ময়, ভুল
ব্রিটিশরা শিখিয়ে গেছে নীতি, ডিভাইড এণ্ড রুল।

প্রশাসন চলছে ঠিক? আমরা চলেছি কত জোরে?
লাইটহাউসের মাথায় দাঁড়াই নিদ্রাহীন কাকভোরে।

অপরাধ কোথায় ঘোরে! অপরাধীর প্রকার কত?
সংশোধনাগার উপচে পড়ে, শুধরে নিচ্ছি যে-যার মতো।

বেশি কিছু আরো দেখি। লিখে রাখে রোজ ইতিহাস।
পানিত্রাসে শরৎবাবু, হলিউডে ডাব হচ্ছে দেবদাস।





৪।।    ∆ অভিমুখ-৩ ∆



হাওয়া আসে ফিরে যায় ঝড় হয়ে।
যেন উড়ে গেছে চালা, ছুটছে মানুষ প্রবল ধন্দ নিয়ে।

পড়শীর দেওয়ালে ঘুঁটে, পোস্টার তালগাছে।
পাড়ার পুকুরের ছোট-বড় মাছে, দশ-বারো ভাগ আছে।

আমাদের গ্রামীণ বাঁচা, ছায়া পড়ে পল্লীউঠোনে।
স্থানীয় ক্রোধ জমে জমে থাকে, বারুদের মতো,  ঈশান কোণে ...




৫।।   ∆ আনন্দ ∆



আনন্দ, দ্যাখো, আয়োজন করে নেয়। 

নিঃস্ব তাদের কাছে বিস্ময় রোদ; 
আড়চোখেদেখি লুকোচুরি খেলছে শৈশব
আর, পাঠশালার অধ্যায়। 

শিখে গেছি কিছু আগে। জিতেছি তাই
তেপান্তরের মাঠ। দু-এক পশলা বৃষ্টিকে বলি 
সময়টা এখন তু তু ম্যায় ম্যায়। 

আয়োজন যতই ছড়িয়ে পড়ুক রাজপথে
আনন্দগোলক সব ঘরে, রাস্তায়...




অলংকরণ - মেহবুব গায়েন

•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

1 comment: