দীপান্বিতা রায় সরকার এর কবিতা -
∆
নিমন্ত্রণ
কোন মুক্ততন্ত্রের কথা বলো..
স্বর্ণ আয়ুর নদী।
অবশ্যম্ভাবী, শেষ বাকলের ঝড়।
বুকের মাঝে সঙ্গত হই কিসে!
সর্বনামের শেষে..
সব হারালে আর কি অতঃপর?
এমন মন্ত্র কি তা জানো!
ও জন্ম যুগের ধারা..
শ্রান্তিহীন, বিরাম শেষ কদম?
কোথায় যেন ফুল ফুটেছে বনে,
পাচ্ছি ভীষন সাড়া,
প্রবল ভাবে আমার নিমন্ত্রন।
∆
সব চাই যে
গাছেদের যে ছায়াপথ, মাঠেদের মতো বিস্তৃত।
চাইবো সেটা আজীবন সঙ্গ দিক।
মেঘেদের যে আলাপন, বজ্রের সন্ধি সকল,
সব অর্জনই থাকুক ভীষন আন্তরিক।
এই যে নরম কঠিন, আলোছায়া উপত্যকা,
নির্মাণ ভেঙেছে যা এই বর্ষণে।
জানি সব জল সরে যায়, দাগ মুছে যায়
দিন চলে যায় দিনান্তের দর্শনে।
প্রথমে চাইবো সেসব, যা কিছু এই জাগতিক
প্রারম্ভিক শব্দ থেকে, সব কিছু শেষ অব্দি।
সব কিছু শোক ও বিলাপ, পাখিদের সব কলতান।
সহজ কঠিন প্রবলতার মন্ত্র দিক।
∆
যৌথখামার
আমাদের ভাঙ্গা বাড়ী ঘরে
দেওয়ালে লিখনে,
কোলাজের রংহীন মুখ|
ছিড়ে আনা টুকরো চাদরে
যত্নের আখরে,
ফসলের কাঙ্ক্ষিত সুখ|
এত রূপ !স্তুপ স্তুপ ভরে,
নিরাকার জটিল জঠরে,
যতবার জন্ম আমার|
ফেরো একবার,তাকাও এঘরে
যেটুকু জমেনি আদরে,
সে ভ্রম ছিলো কার?
সম্মত হও, যদি দাও ছুঁয়ে
অনাঘ্রাত ঘ্রাণে,
প্রকটেই দেই অধিকার|
আমাদের যৌথ খামারে,
বোনা বীজ ধানে,
প্রতিবার জন্ম আমার।
∆
দঙ্গলে সব
ফুল পাখিদের আস্তানা সব,বন বাদড়ে ঘিরে,
ঐ যেখানে বৃষ্টি ঝড়ে,মগডালে মেঘ ফেরে।
রোদ্দুর এসে আলতো করে,আদর সোহাগ করে।
কই সেটা গো ?কংক্রীটে আমার শহর ঘেরে,
একলা একটা সঙ্গী ছাড়া বিষন্ন গাছ মরে।
ভাঙন এলো , বন্যা এলো মাটির শেকড় কই?
ভারসাম্যের তাপ প্রবাহে,উষর ভূমি হই।
গাছকে বাঁচাও গাছ বসাও,যাক কেটে যাক খরা,
গাছ বিহনে রৌদ্দুরে পুড়ে সক্কলি মন মরা।
গাছ লাগালেই মিলবে সুফল,ফিরবে ফুল আর পাখি,
আবার হবো দঙ্গলে সব,সবুজ মাখামাখি।
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
শব্দরঙ হাউস-এ প্রকাশিত হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাব্যগ্রন্থ -
********************************************