মৌপর্ণা মুখার্জ্জী’র কবিতা-
১.
∆ নক্ষত্রবনে ∆
উত্তাপে পুড়তে পুড়তে দিনযাপন
আরেকটিবার বৃষ্টি হলে
ভিজবে গাছ,মন,শরীর
নক্ষত্রবনে একটু জায়গা রেখো
কে জানে কখন স্বর্গারোহন পর্ব এসে পড়ে।
২.
∆ রঙবাহারী ∆
ধীরে ধীরে গাঢ় হচ্ছে রঙ
কখন হবে রামধনু।
ওই দ্যাখো মাছরাঙা,সবুজ টিয়াপাখি
অথবা কাঠশালিখের রঙ।
সব রঙের সঙ্গম হলে
জন্ম নেবে নতুন পাখি,আকাশ,অবকাশ।
৩.
∆ অন্ধকারে ∆
শিখা নিভে গেলে
পোড়া সলতের কালিতে লিখি নাম।
কালো অক্ষরগুলো অন্ধকারে ফেরিওয়ালা।
যে ঘাটে নৌকো থামবে সই
সেখানেই পায়ে বাঁধা নোঙর।
শিকড়ের কাজ শেষ হলে
গাছেরও হাত পা গজায়।
আঙুল আটকে কাঁথা বোনা সুতোয়।
নকশা তুলতে গিয়ে
ছুঁচ টাই বেঁকে গেছে।
৪.
∆ অবশেষে ∆
উপবাসী চাঁদ ও কুমুদিনী
বিনিদ্র রাত,পাঁজরে জমে শিশির।
তিমির ফুরোলে
প্রেম প্রস্ফুটিত হয়,
প্রকৃতি গান গায়।
সহস্র দহনের মাঝেও
একটি স্নিগধ ভোরের আশায়।
৫.
∆ দিনযাপন ∆
কেটেছে নক্ষত্ররাতগুলি
এখন অনন্তদিন
কচুপাতার উপর জমেছে বিন্দুজল।
সমুদ্র চাই নি
একটা নদী চেয়েছিলাম
আর নলখাগড়ার বন।
উঠোনজুড়ে প্রজাপতি
বাকরুদ্ধ আমি।
জানো মাধবীলতা
ভগ্নাংশ থেকে
ভগ্নাংশ হয়ে যাচ্ছি।
ফুরব না কিছুতেই।
একদিন আতসকাঁচ নিয়ে দেখো
তিতির মুনিয়াদের সাথে বেঁচে আছি।
ছবি- অতীশ কুণ্ডু
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
No comments:
Post a Comment