রিম্পা নাথ এর কবিতা-
১.
∆ নিরুত্তাপ চুমু ∆
অবসাদের চাঁদ নিয়ে ওলোটপালট খায়
কবিতার ভিতর আরো একটা কবিতা জামা বদলায়
শব্দহীন জ্যোৎস্নায় নিরুত্তাপ চুমু খেতে খেতে
চোখ ভাঁজ হয়
আন্দোলন প্রিয় অনুভূতিরা
চশমাসুদ্ধ ভেঙে পড়ে বক্র বিছানায়
যেন শত শত গাছেদের কাঁধে বসে
পাখিরা সিগারেট ধরায় কাতিল হয়ে
গুঁড়িয়ে যায় কতো প্লাস্টিকের স্বপ্ন
আরো আলোকতত্ত্ব ভেবে মরে ঘটনাতীত গ্ৰহরা...
২.
∆ মেগাস্থিনিস চোখ ∆
ঈশ্বরের বুকে মুখ ঘষলেই
মাঝরাত হেসে ওঠে উষ্ণতার পাশে
ফুঁ দিয়ে ধীরে ধীরে উলঙ্গ হও
পবিত্র গাছেদের বেডরুমে
বুকে থুথু দাও
দেখো , সুখ বেড়ে যায় হাততালিতে
ফিরে আসে হাজার বছরের জমানো বরফ
ভুল করে এক যুগ ব্যথা দিয়ে
মেগাস্থিনিস চোখ কুঁজো হয়ে আপেল খোঁজে
সদ্যপোয়াতি সাজবে বলে...
মাঝরাত হেসে ওঠে উষ্ণতার পাশে
ফুঁ দিয়ে ধীরে ধীরে উলঙ্গ হও
পবিত্র গাছেদের বেডরুমে
বুকে থুথু দাও
দেখো , সুখ বেড়ে যায় হাততালিতে
ফিরে আসে হাজার বছরের জমানো বরফ
ভুল করে এক যুগ ব্যথা দিয়ে
মেগাস্থিনিস চোখ কুঁজো হয়ে আপেল খোঁজে
সদ্যপোয়াতি সাজবে বলে...
৩.
∆ চুন সুড়কির পৃথিবীতে ∆
এই চুন-সুড়কির পৃথিবীতে, জানালায় ঘুণ ধরলে
কাত হয়ে আসে অব্যক্ত চাঁদের মাথা।ফিকে হয় চেনাশোনা গাছেদের বাথরুম,ঠাকুরঘর।ঠাকুরের গলার মালা ছিঁড়ে মাটি গলে যায় মানুষের মতো।কাঠ শোকায়। পিঠখোলা তাল আঁটি। সেদিন তোমার মা হয়ে ওঠার কারণে কচুপাতায় জল সরে যায়, আমি ঘড়ি ভেঙে তোমায় মুখ বন্ধি করি নদীর তলায় ...
কাত হয়ে আসে অব্যক্ত চাঁদের মাথা।ফিকে হয় চেনাশোনা গাছেদের বাথরুম,ঠাকুরঘর।ঠাকুরের গলার মালা ছিঁড়ে মাটি গলে যায় মানুষের মতো।কাঠ শোকায়। পিঠখোলা তাল আঁটি। সেদিন তোমার মা হয়ে ওঠার কারণে কচুপাতায় জল সরে যায়, আমি ঘড়ি ভেঙে তোমায় মুখ বন্ধি করি নদীর তলায় ...
৪.
∆ ১১ তারিখ ∆
থুতনিতে ব্রোনরা লাল ফ্রক পরেছে আজ
পণ করেছে যেন হারমোনিয়াম বাজাবে সারা মুখে
বেরিয়ে আসবে গোপনীয়তার চূড়ান্ত শ্লেষ
নীল হয় ক্যালেন্ডার
নীল হয় মুখের কার্নিশে ঝুলন্ত প্রেম
মনে হচ্ছে মৃত হব
আগামীকাল, ১১ তারিখ
ঝড় উঠবে উপত্যকায়
খসে পড়বে চার দেওয়ালের পাঁচটা কান
ধীরে ধীরে কাঁটা দিয়ে মৃত্যু তুলব আমি...
পণ করেছে যেন হারমোনিয়াম বাজাবে সারা মুখে
বেরিয়ে আসবে গোপনীয়তার চূড়ান্ত শ্লেষ
নীল হয় ক্যালেন্ডার
নীল হয় মুখের কার্নিশে ঝুলন্ত প্রেম
মনে হচ্ছে মৃত হব
আগামীকাল, ১১ তারিখ
ঝড় উঠবে উপত্যকায়
খসে পড়বে চার দেওয়ালের পাঁচটা কান
ধীরে ধীরে কাঁটা দিয়ে মৃত্যু তুলব আমি...
৫.
∆ নীরবতার গন্ধ ∆
দেশটা একটা কবিতার ঘর
চাষ করে শব্দরা
বর্ণরা খুঁটে খায় চাল
চোখ বুজে ছুঁতে চেয়েছি তোমায়
ভেঙে ভেঙে গেছে তোমার মুখ
তিন তিনটে অলিন্দ নিয়ে
মাঝরাতে ভাত খাই হরিণের মতো
জল সরে সরে যায় আলেয়া দেখে
নিয়তির ঘাস থেকে ছিটকে আসছে সবুজ
ইঞ্চিখানেক দূরে তার নিরবতার গন্ধ...
চাষ করে শব্দরা
বর্ণরা খুঁটে খায় চাল
চোখ বুজে ছুঁতে চেয়েছি তোমায়
ভেঙে ভেঙে গেছে তোমার মুখ
তিন তিনটে অলিন্দ নিয়ে
মাঝরাতে ভাত খাই হরিণের মতো
জল সরে সরে যায় আলেয়া দেখে
নিয়তির ঘাস থেকে ছিটকে আসছে সবুজ
ইঞ্চিখানেক দূরে তার নিরবতার গন্ধ...
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
ভালো হয়েছে লেখাগুলো
ReplyDelete