সৌরভ বর্ধন এর কবিতা -
নক্ষত্র
বিদ্যুৎহীন রাতে আমি শুকতারার জন্য
হলদেটে গরদের মেঘ
জ্বেলেছি ঘোরের কোণে
জালার মধ্যে রেখেছি মূকপাখি -----
সে বাণিজ্য জানে না, শব্দও জানে না
সার্থকভাবে এই সুযোগ নিয়ে
নির্বিকার নাড়ীটির ভিতর প্রতিরাতে
একটু একটু করে নক্ষত্র স্থাপন করেছি
আর সেই চিক্কন স্তম্ভের আলো পড়েছে সারাগাঁয়ে
পাখিপুঞ্জ
মাঝির জন্য অপেক্ষায় বোরোধান স্থির হয়ে আছে
হাটকানো ক্ষেতের ভেতর বহু কোমর জলের তলায়
২৫ হাত পানির কৃষিকাজ, কৌড়ির বুকের মধ্যে ঢেউ
আমি দেখিনি বলেই এখন চাঁদরে পোহায় পাখিপুঞ্জ
বিছানার গায়ে যত দ্বন্দ্ব -- লেগে আছে ব্রাহ্মী শাকে
অথচ একদিন নদীই চূড়ান্ত নেমে আসবে দেহে ----
উড়ন্ত পাখির পা হয়ে পা গুটিয়ে রেখে প্রকাশ্যে
উদান দহন
কিছুদিন কিছু দীর্ঘ দহন শেষে
এই কায়াদিঘি ভরে যাবে অরণ্য হাওয়া জলে
উঁচু মেঘ, আরও অটুট জলীয় ভারে
তবু সীমাহীন হবো স্বাদ
সংকীর্ণ পোশাক পড়ে আছে খালেবিলে
স্বতোৎসারিত ভাষার ছায়ায়
বসে আছে দীর্ঘক্ষণ
আর দগ্ধ হয়ে ছুটছে নয়ন ঈষৎ নয়নে, সমভিব্যাহারে
তবুও ভ্রান্ত নির্জনতা, ভ্রান্ত আহতের শয়নকাল
যেন নিসর্গভয় ঝেড়ে ফেলে, রমনব্যথায়
ফুলের পাহাড় সে বয়নের মতো তুলে ধরে
আঁকড়ে ধরে ঘুম ও জীবনের কুহু কুহু ডাক ------
উদান ভাসে চিৎকারে ----- সহায় ও সহায় তোমার
আমি পেয়েছি তোমায় গাঢ়তম অন্ধকারে...
অলংকরণ - নিশিপদ্য
____________________________________________________________
No comments:
Post a Comment