Wednesday 14 February 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী পর্ব-৪


আশিস মাইতি’র কবিতা-


সুষমা নিয়েছি শুষে


সুন্দরের থেকে চেয়ে নিতে
বসি বৃক্ষতলে, প্রান্তরের মুথা ঘাসে 
তিয়াসি নদীতীর কিংবা শিরীন সানুদেশে অপলক
শুভ্র বিভাজিকায় কখনোও চেয়ে থাকি তরল চোখে।
আদর-অনাদরে উপুড় করে দিয়েছ ভিক্ষাপাত্র
সুষমা নিয়েছি শুষে হাড়গিলে পাখিটির মতো
আমি র‍্যশনাল, রৌরব বুঝি না।
নভেম্বরের শেষ বিকেলে লাজবতী লাবণ্যকে
কাছারির নির্জন অরণ্যে সংবৃতি দিয়েছো।
লিপ্তপদ প্রাণীটির সরোবরে, নিভৃত বিশ্বাস। 
স্বর্গদ্বার সে পেছনে রেখে, সেই নির্জন রাতে
পূর্ণচন্দ্রের আকাশে সংবেদী, স্হির, সমান্তরাল
পাহাড়ের অবয়ব, আমি দেখেছি।


বিষাদ

শিমুল সুতোয় বাঁধা অমোঘ বিধান।
বার বার ফিরে ফিরে আসে,তবু
বাসনা বিহ্বল নিঃশব্দে আগুন জ্বেলে
ফাগুনের সীমানা ছাড়ায়,
গাছেদের প্রান্তরেখা দিয়ে যেদিন
অবয়ব ফুটে ওঠে অসহায় পর্বতের ছায়া।
পূষনের প্রতি তোমার একমুখী প্রণয়
অলজ্জ সাহসিনী শীলাবতী, বয়ে যাও অন্তহীন…
পিঙ্গল উষ্ণীষে কুন্ঠাহীন জেগে আছে
চপল প্রেম, একবার ফিরে এসো স্মৃতির দুয়ারে;
জানি শীতের সময়, পাতা থেকে 
ঝরে পড়ে শিশিরেরা আরেক পাতায়।
তথাগত, পিপুলের নিচে স্মিত হাস্যময়!

দ্যোতনা

অলীক বৈরাগে জানি একা একা লাগে,
যাওয়া আর হলো কৈ, মেঘের ওপারে?
পোড়া হাত আকুল খোঁজে কিঞ্জল আলো
নিবিড় বুৃকে লুকোনো, নিত্য যা ধক ধক বাজে। 
কাঙ্খা সংক্রামিত হলে সব সম্পর্ক কায়িক হয়।
এই ভাবে হারাই হিতৈষী, অতীত ঐশ্বর্য হিমঘুমে…
আমারও ঘুম লাগে, ক্রমে রাত নামে,
পতঙ্গের আওয়াজ শুনি ম্রিয়মান উষ্ণতার বিষাদে। 
কুমুদ পুকুরে ফড়িং হলুদ ডানা মেলে নিরন্তর,
লাল চাঁদ উঁকি দিয়ে অমোঘ দ্যোতনা আঁকে,
কাগজের সারস ভাসাও কেন, হে বিষাদময়ী!

অলংকরণ - নিশিপদ্য‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

1 comment:

  1. আশিসের কবিতায় বুনন রয়েছে মেধার সঙ্গে

    ReplyDelete