নিমাই জানা’র কবিতা -
∆
ক্ষুধা ও পাতকের তীর্যক লেহন দৃশ্য
জীবের মতোই অদৃশ্য জড় জগত । শরীরে সুধন্যার জলযোগ । কল্কিদেশ পাথর , ঝুলে থাকে এক একটা কৈলাস অথচ সরোবরে আমাদের শ্বাসকষ্ট রোগ । ক্ষুধা বড় ভগবানের প্রিয় । ভিক্ষুক ও । এখানেই দাঁড়ায় চর্মরোগের মতো একটি কারুবাসনা । উদ্ভিদের পিপাসা বেড়ে ওঠে । নাভির থেকেও আরো পাতালে সবুজ পাঁকের মতো নরম মাটির দেহজ কঙ্কাল । শুক্তির মতো স্ত্রী শরীরেরা ছায়া আঁকে আঙ্গুলের ফাঁকে নখর ও মোলায়েম মেহনে ।
থকথক করে ওঠে ক্ষতিযোগ । রতি একটি প্লাস্টিক কোটেড রমন । সূত্রধর , কে কাকে নির্মোহ শেখায় হে ভক্ত ?
নিষিদ্ধ ছিলায় বাণ যোগ করো , উপড়ে আনো এ গুরুআশ্রম । অগস্ত্য ও শ্বেতাঙ্গ পিতার ত্রিবিধ অরণ্যের কঙ্কাল ।
এখানে শুধু রাজাধিরাজ এসে কামনা করেন কর্মযোগের । কর্নিয়ার অতলে পিপাসা ভাসে কঙ্কাল স্বেদ ও তর্পণ পিণ্ডের মাংস।
পিপাসা বলতে ক্ষয় রোগ।ছুঁয়ে যায় নাভি ও আচম্বিত উৎসব ঘোর । এখানে কেউ কোন সম্বন্ধ যোগের কথা বলল এবার
ভগবানই আসলে দুমুখো সাপ । আমি কাঁচের বোতলে পরাগত বিষের শীতল জমিয়ে রাখি , অট্টহাস্য প্রেম বন ফরাস জ্বালো ।
∆
অম্লজান নেশা ও জাগতিক শীতলের উত্তরাগমন
জগত ও বুবুক্ষাময় । শক্ত সনাতন স্বৈরীনী নারীটি নিভৃতে রোদন করে । আসক্তি কি মর্মরের মতো ? অদ্ভুত বাস্তব পোকা ক্ষয় খায় ।
রক্তে ভজামহ্যম নৌকা । শুধু নেশা চলে যায় ভক্তির উপাচারে । সাজায় সব গোধূলি, গোপালীগণেরাই নগ্ন শ্রীহীন অভ্যাস জ্ঞান ।
শীতল মেলক বলে কিছু নেই , কণিকার মতো রক্তস্রাবের অঙ্গুলি লেহন ।
জলপ্রপাত । হে অর্পণ , কর্ষণ যজ্ঞের মহা প্রসাদকে এখনই কঠোর পিতার হর্ষ ভয় উদ্বেগ করো , বেরিয়ে এসো শীতল জাগতিক শরীর থেকে। এখনই করুণার মতো উত্তরাখণ্ড ঘটবে শরীর যোগে
পিতারা চলে যাবেন দক্ষিণ গমনে..
তূর্য বাণের মতো নিক্ষিপ্ত দরজা , ঠেলে আসে বেদ ও ঈশ্বরের মতো কঠিন বস্তু পিন্ডেরা উত্তরায়ণ চন্দ্রখন্ডের তিমির পলাশ। হ্রিং ক্রিং। মেষ রাশিটি বড় বিহ্বল ।
এ যজ্ঞেই শুধু সমর্পণ ও ভক্ত মানুষ । ভক্তই মাতা । তারপরেই অদৃশ্য সব । ব্রহ্মের নব অর্জুন শাখা নষ্ট হয়ে যেতেই বিদূরিত তপস্যা লাগে । নির্মম কুবের কতবার ছুঁয়েছে ভদ্রাকে ।
এবার শ্রীনিকেতনে রাধা বিসর্গ চিহ্নের দেবদাস লুকাও । হত্যা ও তুরীয় । নিভৃত নিরবিচ্ছিন্ন যোগ সাধনায় তৃষ্ণাতুর কখনো কখনো বিশুদ্ধ দৃশ্যের পাপস্খালন দেখে ।
∆
তৃষ্ণার কমন্ডুল ও কল্কির সঙ্গম বাধক দশা যোগ
স্তন সমগ্র । মেদ সমগ্ৰ । মুখাগ্নি সমগ্র । ভেষজ মাংসাশী সমগ্র । নঙ্গর্থক দোলা থেকে শাঁখের মতো দুলছে অদৃশ্য চুম্বক । পালকে পালকে করাঘাত অদ্ভুত সংঘাত , মুক্তিযোগ ঈশ ।
ফেনাময় এ স্রোত । জিভের গ্যাঁজলা ও কর্কট । সাত রিপু ও শব উপাচারে উদ্দেশ্য বিহীন তরল ধাতুর নিষ্কাশন । পাত্রে অদৃশ্য ভূত
এ গৌর মহাঘোর , বিভাজিকায় আঙুল দিয়ে ছিদ্র করি সাপ।
বিকট অন্ধকারে এ মহাজগত ঘোরে লেলিহান দগ্ধ আগুনমুখীর ইদ্রিশে ইদ্রিশে
লাল আজরাইল নাচে । কৃষ্ণ পাথরে পাথরে চুম্বন কষ লাগা ঘর । চাঁদ ও জন্ম নেয় যোনি দেশ থেকে , পিতাদের চোখে গৃহ ও আলোর শক্ত মানুষের খনি, রাত্রির মতো নির্ভুল গাছ চুপ করে থাকে ঈশ্বর দরজায়। এতো এতো আকাঙ্ক্ষা ক্ষীতের উপাংশে।
সব পাপ খাই আমি । শ্রীহীন উলঙ্গ দরজায় বিষাক্ত কাঁকড়া। এ দরজায় দরজায় নৃসিংহ নাচে । পাত্রী ও কমন্ডুল দিশাহারা।
কাঠের মতো বিষোদ্গার করে যৌনরোগ । বাধক । শ্লেষা ।
ঈশ্বরের ভেতরে ও নিকৃষ্টতম যৌন রোগের উপসর্গ, দেয়াল বেয়ে কান্না নামে গাছের পলকের ধার ও রন্তিদেব , ক্রিয়া ।
হে ক্ষমা , তৃষ্ণা দাও অদ্ভুত প্রান্তদেশে একটা রক্তের উৎসর্গকৃত মাংস খেয়ে আমি জলের অটলে স্নান করি চামড়ার প্রদাহ মেখে । গর্ভস্থ সুনিতা নৃত্য করছে । কল্কি কাঁদছেন মায়া অঘোষ সংসারে সংসারে ...
ছবি - মেহবুব গায়েন
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
No comments:
Post a Comment