অনন্যা মান্না’র কবিতা -
[] নিপাতনে সিদ্ধ
সেইবারের সামুদ্রিক বাতাসে ভাসছিল সুবাসিত মৈথুন!
অজস্র ডান হাতে লেপটে থাকা কাজলা অভিযোগ।
বুকের দু-তিনটে খোলা বোতামকে ঘিরেই মাঙ্গলিক সভ্যতা!
শূন্যতার প্রতি-'শব্দ' শুনতে শুনতে কখন হাঁটুজল হয়ে গেছে সান্দ্রতা!
এই অবৈধ শীৎকারগুলো মন দিয়ে শুনি; তারপর 'আভোগ'-এ টানি একটা স্বস্তিদায়ক পূর্ণচ্ছেদ।
এসব 'নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি' ছাড়া কলম অসহায়!
[] যা মৌখিক নয়
এখানে পূর্বাপর লিখে চলেছি অহেতুক প্রয়োজনীয়তা!
এই যে তোমাদের কথা বলতে চাইছি রগরগে শব্দে; যেখানে নিঃশ্বাসে ঘেমে ওঠে ঘর,পড়ে থাকে আলুলায়িত অবশেষ; যেখানে বিরূৎ দুটি হৃদযন্ত্র জলের মতোই সহজ অথচ মারমুখী-এই সেই শব্দহীন সারাংশ।
যে কয়টা সাদা পৃষ্ঠা সংস্কারহীন; সেখানে দিন দিন সমরাস্ত্রগুলো নিরুপায় হয়ে পড়ছে নিষ্ঠুর এক সূর্যাস্ত আইনে!
প্রয়োজনে আরো মুখচোরা হব,রাত্রি জাগার আগে জাগবো ভাঙাচোরা জানালায়;মিশবো জীবাণু সংক্রমিত ভাতের থালায়; শুনব জীবনধ্বনি- যা মৌখিক নয় অথচ কর্নগোচর!
[] স্পর্শ ও মৃত্যু
অকাট্য অন্ধকারের তলদেশ থেকে উঠে আসে দৈনিক শব্দালঙ্কার!
আমি নিরপেক্ষ নই;কিন্তু বিকলাঙ্গ নিরক্ষরেখার মতো বসে থাকি দুই গোলার্ধের মাঝে; বারোমাসই বন্ধ রাখি কাচের জানালা।
কিন্তু মুশকিল হল-রোদ আর শব্দ দিয়ে লিখি উনিশ শতক;কবিতার কালাশৌচের পর ঘর সাজাই নববর্ষের আশ্লেষে,
এতবার মৃত্যুর পরেও আমার জীবন যেন পুনর্ভব!
অজস্র আণুবীক্ষণিক অতিথি কড়া নাড়ছে জানালার ওপারে; ব্যর্থতায় কাঁচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে তাদের সনেটীয় কান্না!
অলংকরণ - কনিষ্ক শাসমল
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
বিকলাঙ্গ নিরক্ষরেখা দেখেছেন যিনি তিনি আমাদের অনেক নতুন কবিতা উপহার দেবেন।
ReplyDelete