Friday, 18 April 2025

কবিতা

আঁচলডোবা জল পর্ব -২

অনন্যা মান্না’র কবিতা -


[] নিপাতনে সিদ্ধ 

সেইবারের সামুদ্রিক বাতাসে ভাসছিল সুবাসিত মৈথুন!
অজস্র ডান হাতে লেপটে থাকা কাজলা অভিযোগ।
বুকের দু-তিনটে খোলা বোতামকে ঘিরেই মাঙ্গলিক সভ্যতা!
শূন্যতার প্রতি-'শব্দ' শুনতে শুনতে কখন হাঁটুজল হয়ে গেছে সান্দ্রতা!
এই অবৈধ শীৎকারগুলো মন দিয়ে শুনি; তারপর 'আভোগ'-এ টানি একটা স্বস্তিদায়ক পূর্ণচ্ছেদ।
এসব 'নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি' ছাড়া কলম অসহায়!



[] যা মৌখিক নয় 
 
এখানে পূর্বাপর লিখে চলেছি অহেতুক প্রয়োজনীয়তা! 
এই যে তোমাদের কথা বলতে চাইছি রগরগে শব্দে; যেখানে নিঃশ্বাসে ঘেমে ওঠে ঘর,পড়ে থাকে আলুলায়িত অবশেষ; যেখানে বিরূৎ দুটি হৃদযন্ত্র জলের মতোই সহজ অথচ মারমুখী-এই সেই শব্দহীন সারাংশ। 
যে কয়টা সাদা পৃষ্ঠা সংস্কারহীন; সেখানে দিন দিন সমরাস্ত্রগুলো নিরুপায় হয়ে পড়ছে নিষ্ঠুর এক সূর্যাস্ত আইনে!
প্রয়োজনে আরো মুখচোরা হব,রাত্রি জাগার আগে জাগবো ভাঙাচোরা জানালায়;মিশবো জীবাণু সংক্রমিত ভাতের থালায়; শুনব জীবনধ্বনি- যা মৌখিক নয় অথচ কর্নগোচর!


[] স্পর্শ ও মৃত্যু 

অকাট্য অন্ধকারের তলদেশ থেকে উঠে আসে দৈনিক শব্দালঙ্কার! 
আমি নিরপেক্ষ নই;কিন্তু বিকলাঙ্গ নিরক্ষরেখার মতো বসে থাকি দুই গোলার্ধের মাঝে; বারোমাসই বন্ধ রাখি কাচের জানালা।
কিন্তু মুশকিল হল-রোদ আর শব্দ দিয়ে লিখি উনিশ শতক;কবিতার কালাশৌচের পর ঘর সাজাই নববর্ষের আশ্লেষে,
এতবার মৃত্যুর পরেও আমার জীবন যেন পুনর্ভব!
অজস্র আণুবীক্ষণিক অতিথি কড়া নাড়ছে জানালার ওপারে; ব্যর্থতায় কাঁচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে তাদের সনেটীয় কান্না!


অলংকরণ - কনিষ্ক শাসমল 
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••



1 comment:

  1. বিকলাঙ্গ নিরক্ষরেখা দেখেছেন যিনি তিনি আমাদের অনেক নতুন কবিতা উপহার দেবেন।

    ReplyDelete