জয়া বসাক এর কবিতা-
[] মৃত শিল্পীর সৎকার
দূরবর্তী সকল সাম্যবাদ : সংসারের অদেখা তুমি
পিষে ফেলার আগেই সামগ্রিক নির্দেশ
ধীর স্থির । ধীর স্থির
ধীরে ধীরে যত মৃদুল ব্যথা
মেঘমন্দ্রস্বরে উথলে ওঠা বিহ্বল
'ওরা নেমে আসে আকাশের গায়
তারা খুঁটে খুঁটে ওরা ঐ যে যায়' -- ইতিহাসের গোপন তথ্য অনুযায়ী
এ কথা জানবার নয় । কামোদ চোখে মৃতের অনাদি সুর
লেগে থাকে বক্ষের চারুমালায়
উৎপ্রাসে কেউ চলে যেতেই পারে, তাই বলে শিল্পীর ঘর অনাথ হয়ে ঝুল পড়ে ক্রমশ একা হয়ে উঠবে ?
তীব্র দারিদ্যের এও এক অশ্বত্থ দিন --
খুব শীত করে, খু ব খু ব
গায়ের শীতবস্ত্রে অর্ধোক্ত আড়ম্বরী
যেন দলাপাকা ভূর্জ, সে গান -- যে গানে চির জেগে থাকা --অপরাজিত অপর্ণে
এভাবে দুয়ার খোলা --
একে একে সবাই ফিরে যাবে । যেভাবে একে একে সকলেই কাছে এসেছে...
[] গন্ধরাজ বিচ্ছেদ
মৃত মানুষের বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আছে একটা সুখী মানুষ, কতদূরে রাতজাগা ভোর দেখতে পায় ? শ্বাস নিতে নিতে বুক খালি হয়ে এলে, রাজহাঁস ভারী হয়ে ওঠে... চাঁদ উঠেছে কালচে রঙের ভুষিতে,খইয়ের ভুসিতে । চাঁদের স্পষ্ট কথা শুনতে পাই, ভীষণ জ্বরে-- গন্ধরাজ, গন্ধরাজ...। আজ খুব ঝোড়ো হাওয়া পশ্চিম আকাশে, সেদিনের পর যন্ত্রণার কথা কাউকে বলতে কষ্ট হয় না কিন্তু মৃত্যু পায়। একটা বিচ্ছেদ ঘোষণা হবার পর মৃত গর্ভে যমজ সন্তান জন্ম নেয়...
[] ভয়
মেহগনি গাছের নিচে কত দেহ পড়ে আছে
থোকা থোকা--
তারই মধ্যিখানে বসে একটা সারস পাখি
দোল খায়
দোল দেয়
বন বন করে ঘুরতে থাকা
মাংসপিন্ড কেঁপে ওঠে
নেমে আসে পর্দার ভ্রূণ ধরে, অন্তিমে...
এরপর ভ্রমণ
চেয়ে আছে, যেমন কতকাল কেউ ঘরে ফেরেনি
হারিয়ে গেছে নির্মানুষ জনস্রোতে
একা একা ভয় হয়
পাছে কেউ ফিরে এসে আবার চলে যায়
মেহগনি বুকের 'পরে--
অলংকরণ - কনিষ্ক শাসমল
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
নিজস্ব নিমার্ণশৈলী, শব্দ চয়ন, ভাব, চিন্তা--- সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে,কবিতাগুলো
ReplyDelete