কবি সুমিত পতি’র কবিতা-
১।। ∆ ঐশ্বরিক ∆
অনতিক্রম দূর নক্ষত্রের চোখের আলো নিয়ে লিখিত ইতিহাস।
দুপুরের ফেরিঘাটে অলস মাঝির ঘুমে জেগে থাকা স্বপ্নদোষ
কিংবা নিপুন টোপের ওপারে মাছেদের গেলা, না গেলা সন্দেহে;
অনন্ত ঈশ্বর মেলে দিলো ডানা আকাশে - আকাশে, মেঘে - মেঘে ।
নিজস্ব বোধের অতল তলে সাজিয়ে রাখা ক্ষমার সৌন্দর্য্য।
ঈশ্বরের হাত ধরে নিয়ে যায় জীর্ণ, কীটদস্ট কাব্যের পাতায় ;
নতুন করে লিখিত হয় ইতিহাস, মর্মর জীবনের দুঃসহ সংলাপ।
বোধ থেকে ক্রমশ কেঁপে কেঁপে ওঠে লিখিত জীবনের কথামালা
নিজস্ব ভালোবাসার আকার ইঙ্গিতে ভাস্বর হয়ে উঠে ঈশ্বরের কায়া।
২।। ∆ জরা ∆
জরাটিও রেখে দিয়েছি নিজেরই নামের পাশে
খাক কুরে খাক প্রিয় যৌবন, যাবতীয় স্বপ্নদোষ
পরকীয়া ভোরের আলো গৃহস্থকে সবেমাত্র ছুঁয়ে গেলো
'প্রিয়' - তোমাকেই, সাজিয়ে দেবো অরূপরতন, প্রিয় নিবারন।
ঝুমুরের সুরে ভেসে ওঠা স্বামীহীন রমণীর অচেতন উৎকণ্ঠায়
বহুকাল ধরে বেজে চলে যৌবন সঙ্গীত, পিপাসার গান...
শরীরের মড়ক থেকে চোখে ফুটে উঠে নাগরের জন্যে তীব্র অভিমান।
আমি তো বরাবর 'নাগর' হতে চাই; রমণীর দেহজ অহংকার
জরাটি কেবলই জড়িয়ে ধরে, হৃদয় হয়ে উঠে বৃদ্ধ আশমান।
৩।। ∆ পাঠক্রম ∆
শরীরে শরীর মিলে গেলে রাত্রি রচনা করে কবিতার ঢেউ
ভালোবাসা হয়ে উঠে সীমফুলের মতো নীলাভ বেদন
আলগা একটা নির্ভার জীবনে যতো আলোর রোশনাই
তুচ্ছতার শেকড় উপড়ে নিয়ে আসে কাব্যের উদার আকাশ।
মিলে যায় রাতের অন্ধকারে আকাশের যত কালো রঙ
রাতচরা পাখির চোখে লেগে থাকা চৌর্যবৃত্তির মহিমা
সদ্য যুবকের বুক থেকে টেনে আনে অতল প্রেমের সংবাদ।
রাতের দরজা - জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ে ভালোবাসার পাঠক্রম
শরীরের নিয়মেই জাগে শরীর, কাব্যে লিখে যায় কেউ কেউ।
অলংকরণ - মেহবুব গায়েন
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
No comments:
Post a Comment