কবি সমিধ গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা-
১.
∆ মৃত্যু উপত্যকা ১৭ ∆
নীরক্ত রাখালের বাঁশী থেকে গোরু এবং খাদ্য
কেড়ে নাও
সমুদ্র যেটুকু যুদ্ধ জানে
তার চেয়েও কৌশলী মুদ্রা অহর্নিশ ঝালিয়ে নেয়
গার্হস্থ চৌকাঠগুলো
ফসিলের ঔদার্য পেলে তুমি বিদ্রোহ করো
রংচটা টেবিল-ন্যাপকিন
স্ক্রু-ড্রাইভার হীন জেনারেটর
দড়কচা কয়েকটা একে অন্যকে ঘিরে
বসে থাকা মাথা
ঠিক কবে আর কোথায়
গুমটি ছাড়িয়ে গিয়েছিলো
মনে করবার নুলো চেষ্টা চালিয়ে যায়
আর প্রতিবার
সময়ের বাইরে রাখা জানলাটা গুলিয়ে ফ্যালে...
সময়ের ভেতরে থাকা জানলাটা খুঁজে পায় না...
২.
∆ মৃত্যু উপত্যকা ২৫ ∆
সম্পূর্ণ ছাই থেকে সিগারেটে
ফেরার চেষ্টায়
সম্পূর্ণ পতাকার ওপর চোরাই
ম্যাপ আঁকার চেষ্টায়
সমূহ ঝুলঝাড়ু থেকে দেওয়াল টাঙানোর চেষ্টায়
সটান পরিচয়ের মধ্যে বর্ণ ভাঙবার চেষ্টায়
কথা যেসব মৃত্যু দিয়েছিলো
মৃত্যু যেসব কথা দিয়েছিলো
তারা আজ ইন্দ্রিয়ের লৌকিকতা
গ্রাহ্য করে না...
ফেরার চেষ্টায়
সম্পূর্ণ পতাকার ওপর চোরাই
ম্যাপ আঁকার চেষ্টায়
সমূহ ঝুলঝাড়ু থেকে দেওয়াল টাঙানোর চেষ্টায়
সটান পরিচয়ের মধ্যে বর্ণ ভাঙবার চেষ্টায়
কথা যেসব মৃত্যু দিয়েছিলো
মৃত্যু যেসব কথা দিয়েছিলো
তারা আজ ইন্দ্রিয়ের লৌকিকতা
গ্রাহ্য করে না...
৩.
∆ মৃত্যু উপত্যকা ৪৮ ∆
ধোঁয়া সরে গেলে
পরপর অর্ধগলিত দেহ, হা-খোলা ঝাপসা লিঙ্গের
আস্ত পৃথিবীর ছবি, মহাকাশ নয় পড়শি মহাকাব্যে
বসেও দেখা যায়--
শেষহীন বর্ষাকাল থেকে উপর্যুপরি শেষতম স্বাধীনতার মতো
তীক্ষ্ণ শিসের সঙ্গে বেরিয়ে আসছে থকথকে গায়ে হলুদের ঢঙে বয়ঃসন্ধি না-পেরোনো ঘৃণা...
পরপর অর্ধগলিত দেহ, হা-খোলা ঝাপসা লিঙ্গের
আস্ত পৃথিবীর ছবি, মহাকাশ নয় পড়শি মহাকাব্যে
বসেও দেখা যায়--
শেষহীন বর্ষাকাল থেকে উপর্যুপরি শেষতম স্বাধীনতার মতো
তীক্ষ্ণ শিসের সঙ্গে বেরিয়ে আসছে থকথকে গায়ে হলুদের ঢঙে বয়ঃসন্ধি না-পেরোনো ঘৃণা...
শান্ত,ঠান্ডা,শোকহীন...
৪.
∆ মৃত্যু উপত্যকা ৩০ ∆
মানুষের ডানা থেকে একে একে
পাখি ঝরে পড়ে
মাঝপথে যেসব বই নিজের বুকে
আগলে নিত তাদের
গ্রন্থের কারাগার ছাড়িয়ে তারাও কবে থেকে,
স্বপ্নের অকারণ বিভিন্নতায়
"আজ এই পর্যন্ত" ব'লে উঠে যাচ্ছে যারা--
"শুরুটা কোথায় হ'লো" মনে করিয়ে দেওয়ার মত
কেউ তাদের স্বভাবে বাঁচে না
দেরাজে যাদের যত শুন্যতা হাতের পাঁচ ছিলো
'ঝিল্লিমুখর' শব্দের কাছে এসে,
একঘেয়ে হোঁঁচট খেয়েছে
সমুদ্রের নীলে অথবা কালোয় অথবা
দমবন্ধ করা সফেদ ফেনায়
ঝেড়ে ফেলা আঙুল ভেসে থাকে
নৈঋতের নিশ্চিত মেঘে কোনো বর্ষার
প্রেমিকের খবর আসে না...
মাঝপথে যেসব বই নিজের বুকে
আগলে নিত তাদের
গ্রন্থের কারাগার ছাড়িয়ে তারাও কবে থেকে,
স্বপ্নের অকারণ বিভিন্নতায়
"আজ এই পর্যন্ত" ব'লে উঠে যাচ্ছে যারা--
"শুরুটা কোথায় হ'লো" মনে করিয়ে দেওয়ার মত
কেউ তাদের স্বভাবে বাঁচে না
দেরাজে যাদের যত শুন্যতা হাতের পাঁচ ছিলো
'ঝিল্লিমুখর' শব্দের কাছে এসে,
একঘেয়ে হোঁঁচট খেয়েছে
সমুদ্রের নীলে অথবা কালোয় অথবা
দমবন্ধ করা সফেদ ফেনায়
ঝেড়ে ফেলা আঙুল ভেসে থাকে
নৈঋতের নিশ্চিত মেঘে কোনো বর্ষার
প্রেমিকের খবর আসে না...
৫.
∆ মৃত্যু উপত্যকা ২২ ∆
লুকোচুরি একরকম সম্মোহন
আনে
কনুইয়ের ভাঁজে সবার গোপন
মুখ নিয়ে
তৃতীয়া না আসতেই গয়না খুলে ফ্যালে
শশীকলা
লুকোচুরি একরকম মৌতাত আনে
সবার ঠোঁট ছিঁড়ে নিয়ে
বেমক্কা আঠা আর চুমু বসিয়ে দেয়
জিজ্ঞাসা না আসতেই পৃথিবী
বেহুঁশ হয়ে যায়
অ্যাটমিক শীত আর নৌকোর
সঙ্গম ছাড়া
শালীন আর্তনাদ হজম করতে
আর একজনও এগিয়ে আসে না...
আনে
কনুইয়ের ভাঁজে সবার গোপন
মুখ নিয়ে
তৃতীয়া না আসতেই গয়না খুলে ফ্যালে
শশীকলা
লুকোচুরি একরকম মৌতাত আনে
সবার ঠোঁট ছিঁড়ে নিয়ে
বেমক্কা আঠা আর চুমু বসিয়ে দেয়
জিজ্ঞাসা না আসতেই পৃথিবী
বেহুঁশ হয়ে যায়
অ্যাটমিক শীত আর নৌকোর
সঙ্গম ছাড়া
শালীন আর্তনাদ হজম করতে
আর একজনও এগিয়ে আসে না...
অলংকরণ- মেহবুব গায়েন
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
No comments:
Post a Comment