ওয়াহিদার হোসেন এর কবিতা -
১.
∆ কবিতা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ∆
কবিতাগুলোকে খাপে রাখা যাচ্ছে না
এত ধার,দুপাশেই কাটবে এখন রোদে ঝড়ে
এখানে ওখানে হাবিবের মা চেঁচিয়ে উঠবে
কোঠে বেরালো রে সারাদিন এই ভেবে
ময়ানে রাখা যাচ্ছে না,চোখ থেকে ঘুম উড়ে যাচ্ছে এমন
অক্ষরগুলো রাখব তবে কাসার থালায় শব্দ হবে
শাড়ির লাল পাড়ে ঢেউ লাগবে কুয়োতলায়
পিউকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি দশবছর আগের
কুয়োতলায়
যেভাবে জল তুলে আনত মা
ফজরের আগে আগেই লুকিয়ে ফেলা দরকার
এই অস্ত্র
এই নিস্পাপ আগুন রাখা যায়না
জোনাকির মতো উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
আব্বা ভাইয়ার কবর জুড়ে বিষাদ গাথায়
তবে ভোর হচ্ছে,প্রতিবাদ লুকিয়ে ফেলেছি
বুকের গহীন অন্ধকারে
অস্ত্র বাক্য অসি মসি সব
সব এই প্রায়ান্ধকার জঙ্গলের নিচে
যোনির গাঢ় অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে
এইসব স্বপ্নের কবিতা
এইসব পাথরের ঢিল রাষ্ট্রের থেকে লুকিয়ে চুরিয়ে
চুপে চুপে কুয়াশার ধোঁয়ায় দাফন দফতর করছি......
২.
∆ পরমাত্মীয় ∆
গলে পড়ছে রোদছায়া
আসমান থেকে নেমে আসছে
ফোঁটা বৃষ্টিও
দূরে বহুদূরে
মেঘ ঝরে পড়ছে
মেঘের সঙ্গে
অবুঝ পাপড়ির আঘাত
মেয়েমানুষের আত্মীয়তা।
অলংকরণ- শৌভিক পাল
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
সুরজিৎ বেরা’র কবিতা-
১.
∆ প্রণাম ∆
আড়ি করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে
মা কোলে তুলে নেয়...
তুলসী তলায় সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে
নুইয়ে পড়ি মায়ের সামনে;
ঝুমকো জবা নুইয়ে পড়ে যেমন।
কপাল আমার মাটি ছোঁয়
মা কোলে তুলে নেয়...
২.
∆ আয়ু ∆
বাবা, এবার তোমার একটা
নতুন মোবাইল প্রয়োজন।
বাবা হাঁফ ছেড়ে বলে -
ঘষেমেজে যতদিন হয়।
সারাদিন কাজের শেষে
স্নানের সময় বাবা সাবান মাখে
দেহের ময়লা জলে সহিত হয়;
ক্লান্তির রক্তঘাম ক্ষয়।
বাবা হাঁফ ছেড়ে বলে -
ঘষেমেজে যতদিন হয়!
৩.
∆ তুমি ∆
ছুঁয়ে যাও -
গা ভেজা জলময়ূরীর মতন করে,
শাপলা ফুলের অভিমান ভেঙ্গে চুরে।
ফিরে তাকাই -
শ্রমহীন ক্লান্ত চোখে যত্ন ভরে,
গতিহীন নদীর মাত্রাছাড়া অক্ষর জুড়ে।
আকাশ আবির রাঙায় উষ্ণ বিকেলে
এ কবিতা জানি একটু সেকেলে।
যদি বলো পাল্টে যাবে এ ঘরানা
শুধু তুমি একবার একবার ফেরোনা।।
ছবি- অর্ণব জানা
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
নবীন সরকার এর কবিতা-
১.
∆ দ্বিতীয় পদক্ষেেপ ∆
তোমাকে আমার আলোয় দেখছি
তোমাকে দেখেছি নিপুণ আবছায়ায় নিটোল হতে প্রতিদিন
ছাপা অক্ষরে খাঁজকাটা নকসায়
জোঁনাকিরা এলোমেলো হয়ে যায়
আমি কোটি জোঁনাকের কবরে আঁধার নামিয়ে এলাম
তোমাকে আনবো বলে, ঝিকিমিক আলো এল ই ডি
প্রেমিকের মতো নির্জন গলি আবেগ
সেলফোনগুলো আলো করে রাখে মুখ
তরঙ্গ উঠে তরঙ্গে ডুবে যায়
তোমাকে ডাকার বেদুইন আয়োজনে
কিছু যোগাযোগ ব্লক্ হল গত রাতে
তোমাকে জড়িয়ে পাগলামি স্বরলিপি
স্তব্ধতা ভেঁঙে হরবোলা হয়ে ওঠে
নিপুণ আবেগে ভেসে থাকে আচরণ
গভীরতা খোঁজে দ্বিতীয় পদক্ষেপ....
২.
∆ ইচ্ছেকুসুম ∆
যেখানে মৃত্যু যন্ত্রণায় পা ডুবিয়ে বসে থাকি তোর আশায়
মাথায় বিলি কেটেদেয় হাইটেনশন শব্দমালা
দাঁতের গোঁড়ায় শিরশিরিয়ে উঠতে থাকে অসহ্য অবহেলা
সেইখানে দু'দন্ড ঘুমোতে চাওয়া তোর নরমে
তোর আঙুলের ভাঁজে অস্বাভাবিক সব বিষাদ কোষ
ভবিশ্য নিয়ে অভ্রভেদী কৌতুহলী আলোচনার গোঁড়ায়
রুট-রড্ হলে আমার কানে ফিসফিসিয়ে বলিস
আমি মন পেতেছি বহু প্রজন্ম আগে-
তোর যন্ত্রণা আগলাবো বলে দু'হাত ভরে
যে রুগনো পায়ে ভর করে আকাশকুসুম
ভেবে চলি, গেঁথে চলি অসহ্য ফুলমালা
সেসব অলিক ছোটোগল্পের তলপেটে পোঁতা
আছে দু'চারটে মেহগনি বীজ
তুই ওম দিয়ে বড় করিস একদিন
সেই সকল ইচ্ছেকুসুম মহিরুহ
৩.
∆ একা সাপ আর আমি ∆
নিচু গলা ব্যবহার করে সুরঙ্গে ঢুকেপড়ি
তারপর কাশবন দূরে পদ্মডোবা
জড়িয়ে থাকে ডোরাকাটা শীত
উত্তুরে মেঘ ডাগর চোখে ফ্যানটাসি ফেরি করে
আলোর ঘোরে বুঁদ হয়েগেছি
সাঁতরে এগনো বহুদূর পথ
মৃত চত্তরে হাওয়া দেয় ঝাউপাতা
বালিয়াড়ি চাপা গন্ধেরা ঘুম ছিঁড়ে খায়
তবু অঙ্কুর ঊর্ধ্বগামী স্রোতে
গা ভাসিয়ে জীবন দোলায় আজও
তোমাকে আমার আলোয় দেখছি
তোমাকে দেখেছি নিপুণ আবছায়ায় নিটোল হতে প্রতিদিন
ছাপা অক্ষরে খাঁজকাটা নকসায়
জোঁনাকিরা এলোমেলো হয়ে যায়
আমি কোটি জোঁনাকের কবরে আঁধার নামিয়ে এলাম
তোমাকে আনবো বলে, ঝিকিমিক আলো এল ই ডি
প্রেমিকের মতো নির্জন গলি আবেগ
সেলফোনগুলো আলো করে রাখে মুখ
তরঙ্গ উঠে তরঙ্গে ডুবে যায়
তোমাকে ডাকার বেদুইন আয়োজনে
কিছু যোগাযোগ ব্লক্ হল গত রাতে
তোমাকে জড়িয়ে পাগলামি স্বরলিপি
স্তব্ধতা ভেঁঙে হরবোলা হয়ে ওঠে
নিপুণ আবেগে ভেসে থাকে আচরণ
গভীরতা খোঁজে দ্বিতীয় পদক্ষেপ....
২.
∆ ইচ্ছেকুসুম ∆
যেখানে মৃত্যু যন্ত্রণায় পা ডুবিয়ে বসে থাকি তোর আশায়
মাথায় বিলি কেটেদেয় হাইটেনশন শব্দমালা
দাঁতের গোঁড়ায় শিরশিরিয়ে উঠতে থাকে অসহ্য অবহেলা
সেইখানে দু'দন্ড ঘুমোতে চাওয়া তোর নরমে
তোর আঙুলের ভাঁজে অস্বাভাবিক সব বিষাদ কোষ
ভবিশ্য নিয়ে অভ্রভেদী কৌতুহলী আলোচনার গোঁড়ায়
রুট-রড্ হলে আমার কানে ফিসফিসিয়ে বলিস
আমি মন পেতেছি বহু প্রজন্ম আগে-
তোর যন্ত্রণা আগলাবো বলে দু'হাত ভরে
যে রুগনো পায়ে ভর করে আকাশকুসুম
ভেবে চলি, গেঁথে চলি অসহ্য ফুলমালা
সেসব অলিক ছোটোগল্পের তলপেটে পোঁতা
আছে দু'চারটে মেহগনি বীজ
তুই ওম দিয়ে বড় করিস একদিন
সেই সকল ইচ্ছেকুসুম মহিরুহ
৩.
∆ একা সাপ আর আমি ∆
নিচু গলা ব্যবহার করে সুরঙ্গে ঢুকেপড়ি
তারপর কাশবন দূরে পদ্মডোবা
জড়িয়ে থাকে ডোরাকাটা শীত
উত্তুরে মেঘ ডাগর চোখে ফ্যানটাসি ফেরি করে
আলোর ঘোরে বুঁদ হয়েগেছি
সাঁতরে এগনো বহুদূর পথ
মৃত চত্তরে হাওয়া দেয় ঝাউপাতা
বালিয়াড়ি চাপা গন্ধেরা ঘুম ছিঁড়ে খায়
তবু অঙ্কুর ঊর্ধ্বগামী স্রোতে
গা ভাসিয়ে জীবন দোলায় আজও
ছবি- মেহবুব গায়েন
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
সংগ্রহে করার জন্য যোগাযোগ করুন- 9679655286(whatapps)
No comments:
Post a Comment