Saturday 10 February 2024

কবিতা

বসন্ত বৈষ্ণবী পর্ব-৩


দেবার্ঘ‌ সেন এর কবিতা -

অসম্পৃক্ত 

দুটো মানুষের ছায়া মিশে যাচ্ছে, 
আলো যেন পাউডারের মত 
ছড়াচ্ছে মৃদু দূষণ—
চারপাশে বন্ধ্যা বাতাস
প্রজাপতিরা রঙ মাখছে সাদাকালো। 

মনকে কেন্দ্র করে, ঘুরে চলেছে গ্রহেরা—
কক্ষপথ মাড়ালেই টের পাবে তরঙ্গের, 
তোমার চোখে কাঁদানে গ্যাস এসে 
মর্মান্তিক হতে চাইবে সময়।

অথচ তোমার হাতের সমস্ত রেখাই তো
চেয়ে চেয়ে থাকা বৃষ্টির-কাল।
যেমন দুটো মানুষের ছায়া মিশে যাচ্ছে 
তবু মানুষ দুটো মিশতে পারছে না কিছুতেই।

ব্যাপন

অবজ্ঞার মতো এক দূরে ঠেলে দেবার প্রক্রিয়া থেকে, 
নিজেকে ঢেকেছি অন্ধকারে—
এ অন্ধকার দেশলাই বাক্সের ভেতরে থাকা অমিয় আড়াল।
প্রক্রিয়া যতই নিষ্ঠুর হোক, বিস্মিত হই না আর। 
যতভাবে ভাঙার থাকে বা থেকে থাকে ভাঙার
তার থেকেও মিহি এ যাপন থরে থরে বারুদমাখা। 
তোমাকে বলতে পারার মতো কোনও কথাই আর নেই, 
নেই কোনও বায়ু ধোয়া জল।
বিশ্বাসের বিষে বিষে জুড়ে থাকা নশ্বর ভাইরাস 
সাজিয়ে তুলি আলমারিতে। 
একদিন আলমারির পেট থেকে 
গ্যাস অম্বলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে চারিদিক।

রাঙামাটি মিথ

মন বড়ো ছোট বলে কিছু হয় না, 
যা হয় তা সবটাই বড়ো। 

জন্ম থেকে কোলাহল আর কাঁচে 
পা কেটে যায়
পা কাটতে কাটতে, 
ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস প্রগাঢ় হয় এমন 
যেন তা রাঙামাটি। 

রাঙামাটি, বিশ্বাস সবই কিন্তু মিথ
মন বলে যে বস্তু নিয়ে নাড়াচাড়া এতো
সে আসলে মিথেরই পক্ষপাত

কোলাহল অথবা কাঁচ থেকে 
জন্মের পা কেটে যায়, কাটতে কাটতে তখন
মন দিয়ে মনকে দেখি—

কখনও তা রক্তশূন্য 
কখনও বা রক্তিম।

অলংকরণ - নিশিপদ্য‌
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

No comments:

Post a Comment