সৌমিত বসু’র কবিতা -
∆
জীবন এক আশ্চর্য দূরবীণ
১
যতবার সূঁচের ফুটোর ভেতর দিয়ে
গলিয়ে দিচ্ছি রোদ্দুর
তুমি হাত বাড়িয়ে টেনে নিচ্ছ গর্ভের ভেতর।
আমাদের জীবন শেষ।মৃত্যু জেগে উঠে
বসে আছে বুকের ওপর।
আলো হারিয়ে সুঁচ হাঁ করে বসে রয়েছে খিদেয়।
ব্রিজের ওপর থেকে আমি যতদূর দেখতে পাই
তুমিও কি তাই পাও? বলো
২
খুশি তুমি নিজে হতে পারো কিংবা হরিণ।
মৃতের নীলাভ খাম দরোজার নীচ দিয়ে বয়ে আসে,
গলায় জড়িয়ে রাখো বটফল, তার আঠা এসে ঢেকে দেয় যোনিমুখ, মুখমন্ডল।
কোনো কোনো রাতে টাঙ্গির কোপে তার ভেঙে যায় ঘুম
টপটপ ঝরে পড়ে চাঁদের টুকরো, মেঘ আর তারা।
পাতার পর পাতা উল্টে সে খুঁজে চলে সম্ভোগ চ্যাপ্টার,
ফ্ল্যাটের জানালা খুলে মুখ বের করে ভাইবোন, হারানো পিসিরা।
চুপচাপ সংসার ওড়ে
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের স্তুপ সে একা একা জোড়ে।জুড়ে চলে।
আলোগুলো দপদপ করে ওঠে
কিন্তু নেভে না।
৩
বিনীত ঝাউপাতা থেকে ঝরে পড়া সংস্কার
আমি কুড়িয়ে কুড়িয়ে ভরে রাখি
খুব ভোরে কথাগুলি থেকে ধোঁয়া ওঠে
রাত্রিগুলি মাথা ঠোকাঠুকি করে বলে দেয় কঙ্কালের সরু পথ মাঠের ভেতর।
এভাবে সিরিজ জুড়ে আলো জ্বলে ওঠে।
বুকে ভর দিয়ে ছোবলে প্রস্তুত যারা গুড়ি মেরে তারাও কিভাবে ঢুকে আসে সিরিজের ডগায় আবার।
ঠোঁটে খুঁটে খাই।উড়ে বসি প্রতিবেশী ছাতে।সময় সুযোগমতো তুমি ইতিহাস সরিয়ে একবার সত্যি হয়ে ওঠো।
ছবি- মেহবুব গায়েন
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
No comments:
Post a Comment